নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি জলপ্রকল্প থেকেই দুই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। এমনই এক জলপ্রকল্প গড়ে তুলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। নদিয়া(Nadia) জেলার রানাঘাট(Ranaghat) থানার মুকুন্দপুরে(Mukundapur) ১০৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকার গড়ে তিলছে ‘ভাগীরথী জলপ্রকল্প’(Bhagirathi Water Supply Project)। এই প্রকল্প গড়ে উঠলে আর্সেনিক প্রবণ নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ৪টি ব্লকের মোট ৩ লক্ষ পরিবার আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন নিজের বাড়িতেই। এই ৪টি ব্লক হল রানাঘাট-১ ও ২ এবং বনগাঁ ও বাগদা। এই প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ এখন জোরকদমে চলছে মুকুন্দপুরে ভাগীরথীর ঘাটে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। চেষ্টা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্প উদ্বোধন করে চালু করে দেওয়া।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েতে No জোট-ঘোঁট With বাম-কংগ্রেস, শুভেন্দুকে ধাক্কা নাড্ডার
পুরসভার পাশাপাশি পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেও পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। নদিয়া জেলার বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় নদীর জল পরিস্রুত করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামীণ এলাকার জন্য নদীর জল পরিস্রুত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প এই প্রথমবার হতে চলেছে। এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন নদিয়া ও উত্তর ২৪পরগনা জেলার মোট ৪টি ব্লকের বাসিন্দারা। এই প্রকল্পে প্রথমে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ভাগীরথীর জল পরিস্রুত করা হবে। তারপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চাকদহ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। রানাঘাটের দু’টি ব্লকেও একইভাবে জলের সরবরাহ বজায় থাকবে। নদিয়া জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে জানা গিয়েছে, গোটা প্রকল্পটাই রানাঘাটে ভাগীরথীর পাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই এই কাজটা বেশি সময়ের। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ইনটেক স্ট্রাকচারের কাজ প্রায় শেষ। রানাঘাট-১ ও ২ ব্লকে পাইপলাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।