এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজধর্ম পালনের নজির গড়লেন মমতা! রোষে পুলিশ-আনারুল

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি দলের সর্বময় কর্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুলিশমন্ত্রীও। বকটুইয়ের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তাঁর দলের নেতাকর্মীদের দিকেই। অভিযোগ উঠেছে তাঁর অধীনে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধেও। তবুও অবিচল তিনি। বৃহস্পতিবার বকটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে তিনি দেখিয়ে দিলেন, বুঝিয়ে দিলেন, রাজধর্ম পালন কীভাবে করতে হয়। বাম জমানার ৩৪ বছরে যে দৃশ্য সূচপুরে, ছোট আঙ্গাড়িয়ায়, নেতাইয়ে, ধানতলায়, বাণতলায়, সাঁইবাড়িতে, মরিচঝাঁপিতে, সিঙ্গুরে , নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি সেটাই দেখা গেল বকটুই(Boktui) গ্রামে। করে দেখালেন তিনি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজধর্ম পালনের নজির গড়লেন তিনি।  

বাম জমানার ৩৪ বছরে বাংলা জুড়ে ঘটে গিয়েছে একের পর এক গণহত্যা ও গণধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু কোথাও একদিনের জন্যও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলির কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি বাংলার দুই বাম মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু(Jyoti Basu) ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য(Budhadeb Bhattacharya)। মমতা দেখালেন তিনি পূর্বসুরীদের পথে হাঁটা দেবেন না। পূর্বসুরীরা রাজধর্ম পালনে অক্ষুণ্ণ হলেও তিনি রাজধর্ম পালন করবেন। সেই কারণেই বকটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে একদিকে যখন তিনি আনারুলকে গ্রেফতাররের নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি সরব হয়েছেন পুলিশের(Police) বিরুদ্ধেও। সাফ জানিয়েছেন, ‘এসডিপিও ও আইসি-র গাফিলতি ছিল। আগেই ওই দুজনকে ক্লোজ করা হয়েছে। একটা খুন যখন হয়ে গিয়েছে, তখন এসডিপিও-র সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। এই গ্রামে আগেও অনেক খুন-খারাপি হয়েছে। কেন সতর্ক হননি উনি? যাঁরা জেনেশুনেও পুলিশকে ঠিক মতো কাজে লাগাননি, তাঁদেক কঠোর শাস্তি চাই। অভিযুক্তরা যেখানেই পালাক ধরে নিয়ে আসতে হবে। একে পাওয়া গেল না, ওকে পাওয়া গেল না, এ পালিয়ে গেল, ও পালিয়ে গেল, এসব কথা শুনতে চাই না। সূচপুরে যেমন হয়েছিল, তেমনভাবে কেসটা সাজাও। কেউ যেন ছাড়া না পায়। কেসটা খুব ভালোভাবে আটঘাট বেঁধে সাজাতে হবে। কারণ আমি শুনেছি আগের কেসটা, যেটা মার্ডার হয়েছিল তিন চার বছর আগে হাইকোর্ট থেকে বেল পেয়ে গিয়েছে। পরিবারের কথা, পাড়া পড়শিদের কথা নিয়ে কেসটা এমনভাবেই তৈরি করতে হবে যাতে দোষীরা শাস্তি পায়।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্বজনহারা পরিবারদের পাশে এমনভাবে দাঁড়ান যা এর আগে বাংলার কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়নি। এর আগে বাম জমানায় যখন মরিচঝাঁপি, সাঁইবাড়ি, ধানতলা, বাণতলা, সূচপুর, ছোট আঙ্গাড়িয়া কিংবা হালের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের বুকে যখন একের পর এক গণহত্যা, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তখন কোনও দিন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে গিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের। কিন্তু মমতা বার বার দেখালেন তিনিই পারেন অতি সংকটময় পরিস্থিতিতেও মানুষের মাঝে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজধর্ম পালন করতে। এমনকি এদিন বকটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। তখন দেখা যায় তাঁর শুশ্রষা করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর