এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

যাদবপুরে ভাষা বিভ্রাট, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছেন পড়ুয়ারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেক আশা নিয়ে প্রতিবছর কয়েক হাজার পড়ুয়া(Students) ভর্তি হন এই ভারত বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু এখন সেই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েও অনেকে তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন শুধুমাত্র ভাষা বিভ্রাটের জেরে। এ ছবি কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadabpur University)। সামনে এসেছে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসা মেধাবী বেশ কিছু পড়ুয়া সাম্প্রতিক কালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছেন ভাষা বিভ্রাটের জেরে। কেননা এদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে ইংরেজিতে(English)। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বিষয়ে নোটস সেই সবও ইংরেজিতে। এই অবস্থায় গ্রাম বাংলা থেকে উঠে আসা বা বাংলা(Bengali) মাধ্যমের স্কুলে পড়ে বড় হওয়া মেধাবী পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও দেখা যাচ্ছে তাঁরা তা টানতে পারছেন না শুধুমাত্র ভাষা বিভ্রাটের জেরে। আর তার জেরেই তাঁরা কার্যত অসহায়ের মতো স্বেচ্ছায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্য কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তাতে যেমন আর্থিক ভাবে তাঁরা ধাক্কা খাচ্ছেন তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ভাষা বিভ্রাটের জেরে যে সব পড়ুয়া চলতি বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে তাঁদের একটা বড় অংশই এসেছে বাংলার প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে। কেউ এসেছিল মুর্শিদাবাদ থেকে, কেউ কোচবিহার থেকে, কেউ বা পুরুলিয়া থেকে। এরা স্নাতক স্তরের ক্লাসে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার সঙ্গে কিছুতেই নিজেদের খাপ পাওয়াতে পারেনি। মেধাবী হলেও তাঁরা উচ্চশিক্ষার প্রাঙ্গণে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি শুধুমাত্র ভাষা বিভ্রাটের জেরে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সব পড়ুয়াই জানিয়েছে, তাঁরা যাদবপুরের ইংরেজির সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারছিল না। তাঁদের সব থেকে বড় অভিযোগ, এই ভাষা বিভ্রাটের বিষয়টি তাঁরা ক্লাসের মধ্যে ও ক্লাসের বাইরে অধ্যাপক জানালেও কোনও ফল হয়নি। বরঞ্চ তাঁদের সমস্যা নিয়ে ক্লাসের ছেলেমেয়েরা মায় অধ্যাপকেরা পর্যন্ত হাসাহাসি করেছে। কোনও কোনও অধ্যাপক তো রীতিমত তাঁদের মুখের ওপর আজনিয়ে দেন, ‘এখানে পড়তে হলে ইংরেজি জানতে হবে। না-হলে চলে যাও।’ আর এখানেই যাদবপুরছুট পড়ুয়াদের অসহায় আর্তি, ‘সারা জীবন বাংলা মিডিয়ামে পড়ে হঠাৎ ইংরেজি তো শিখতে পারব না। আমাদের শিখিয়ে নেওয়াই শিক্ষকদের কাজ ছিল। কিন্তু তার বদলে ওঁরা কেবল ইংরেজির কথাই বলে গেলেন, শেখালেন না।’  

যাদবপুরের এই অবস্থা নিয়ে শিক্ষাবিদরা মোটামুটি একমত। তাঁদের অভিমত, যাদবপুরে ভর্তি নেওয়া হয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ও উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে। দেশের প্রথম সারির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শুধু যে কলকাতার ছেলেমেয়েরা আগ্রহ দেখায় তা নয়, বাংলা মায় দেশের অনান্য রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এমনকি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের পড়ুয়ারাও আবেদন করে। এদের বেশির ভাগই আসে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল থেকে। তাই তাঁদের ক্লাস করতে কোনও সমস্যা হয় না। এদের সঙ্গে লড়াই করে বাংলার মেধাবী পড়ুয়ারা যাদবপুরে ভর্তি হতে পারলেও যাদের স্কুলের মাধ্যম বাংলা, তাঁদের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ক্লাস করা, নোটস নেওয়া বা লেখা, নোটস পড়ে তা বোঝা খুবই সমস্যা হয়ে যায়। আর এই জায়গা থেকেই দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছুট আটকানো যেত যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে নিজেরা সচেষ্ট হতেন। কিন্তু তা হয়নি। সব থেকে বড় বিষয় এটা স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা নাক উঁচু হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা ইংরেজিকেই কার্যত গীতা বানিয়ে ফেলেছেন। তাই বাংলা মাধ্যম থেকে উঠে আসা পড়ুয়ারা বা তাঁদের সমস্যা নিয়ে তাঁরা বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে চাইছেন না। গোটা বিষয়টি তাঁদের কাছে ঠাট্টা তামাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় বদল, জায়গা করে নিল আরও ১২ জন

প্রচারে বেরিয়ে আচমকা অসুস্থ সায়নী, বাতিল সমস্ত কর্মসূচি

বিলুপ্ত Typist পদের জায়গায় LDA পদ সৃষ্টির দাবি

ঘুরপথে হিন্দি চাপানোর প্রচেষ্টা UGC’র, সরব ব্রাত্য সহ রাজ্যের শিক্ষাবিদরা

জামিন পেয়েই বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর