এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার পথ ধরে কেন্দ্রের বাজেটে জোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে

কৌশিক দে সরকার: বাম জমানায় যার গোড়পত্তন তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছে তৃণমূলের জমানায়। বাংলা আজ তাই দেশের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে(MSME) দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই শিল্পক্ষেত্রের দিকেই সব থেকে বেশি জোর দিয়েছেন। কেননা এই শিল্পক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। যে সিঙ্গুরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে মমতা বাংলার মসনদে এসেছিলেন সেই সিঙ্গুর নিয়ে এখনও বিরোধীরা তাঁকে আক্রমণ শানিয়ে যান। তাঁদের দাবি, ভারী শিল্প ভিন্ন রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধান হবে না, রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনও হবে না। এদের মধ্যে বিজেপিও আছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি পরিচালিত দেশে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার সেই মমতার দেখানো পথে হেঁটেই দেশে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের ওপরেই জোর দিতে চাইছেন। কার্যত এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে, What Bengal Thinks Today, India Thinks Tomorrow.

আরও পড়ুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতায় তাপমাত্রা বাড়বে

নরেন্দ্র মোদি দেশের ক্ষমতায় আসার সময়ে কার্যত প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটিয়েছিলেন। কার্যত তার সিংহভাগও তিনি পূরণ করেননি। দুই দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও দেশের বেকার যুবকদের সামনে কাজের বাজার খুলে দিতে পারেননি। উল্টে তাঁর আমলেই দেশের আর্থিক অবস্থা সব থেকে খারাপ হয়েছে। দেশের মধ্যে বেকারত্ব চরমে উঠেছে মোদি জমানাতেই। এদিকে সামনেই লোকসভার নির্বাচন। দেশজুড়ে যে বিজেপি(BJP) ও মোদির জনপ্রিয়তা কমছে তা নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে। বিজেপি যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক ক্ষমতায় সরকার গড়ার অবস্থায় থাকবে না সেটাও উঠে এসেছে এই সব সমীক্ষায়। মোদির জমানায় কেন্দ্র সরকার বার বার শিল্পপতি থেকে উচ্চবিত্তদের অনেক আর্থিক সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা দেশের জন্য কিছুই করেননি। তার জেরে মোদি চাইলেও দেশে নতুন করে শিল্প স্থাপন যেমন হয়নি তেমনি বেকারত্ব সমস্যার সমাধানও হয়নি। এখন আবার মন্দার মোকাবিলার জুজু দেখিয়ে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে দেশের একের পর এক বহুজাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলি। আর এই ছবিটাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারের অন্দরে।

আরও পড়ুন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের DA মামলার শুনানি ১৬ জানুয়ারি

তাই বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে নরেন্দ্র মোদির সরকার এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটা দিতে চলেছে। বাংলার মতোই এবার দেশে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দিতে চলেছে মোদি সরকার। এমনিতেই চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে। এই আবহে আর্থিক মন্দার মুখ থেকে ভারততে বাঁচানোই এখন মোদি সরকারের মূল লক্ষ্য। সেই জন্যই কেন্দ্র জোর দিচ্ছে মানুষের কাজ যাতে না যায় সেদিকে। সেই সঙ্গে যারা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের যাতে কাজ দেওয়া যায় তার জন্য ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প স্থাপ্নের ওপর। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি যাতে শ্লথ না হয় তার জন্যও এই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে বলে এবার বুঝতে পেরেছে মোদি সরকার। তাই আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে(General Budget) দেশে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। এবারের বাজেটে কোনও বড় প্রকল্প ঘোষণা না করে বরঞ্চ মমতার দেখানো পথেই হাঁটা দিতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ(Nirmala Sitaraman)। কেননা দেশের আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক মন্দা দেখা দিতে চলেছে তার জেরে একমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পই পারবে চাঙ্গা থাকতে, মানুষকে কাজ দিতে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে।

আরও পড়ুন গঙ্গাসাগর মেলা দেখে মুগ্ধ রাজ্যপাল, মমতা সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ

সেই সূত্রেই মমতার দেখানো পথে হাঁটা দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের কাস্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাইছে মোদি সরকার যা মমতা বাংলাতেও করেছেন। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের পণ্য যাতে বিদেশের বাজারে রফতানি করা যায় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখছে মোদি সরকার। মমতা এক্ষেত্রেও আগেই পদক্ষেপ করেছেন। সেই সঙ্গে  কেন্দ্র সরকার এবার রাজ্যে রাজ্যে ‘এক জেলা এক উৎপাদন’ কর্মসূচিতে জোর দিয়ে জিআই তকমা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করবে। বস্তুত মমতার উদ্যোগেই বাংলার একের পর এক পণ্য জিআই তকমা পেয়ে ইতিমধ্যেই বসে আছে এবং তা কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। গোটা দেশে এখন ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে প্রায় ১২ কোটি মানুষ জড়িয়ে। যার মধ্যে দেড় কোটি মানুষ শুধু বাংলার বাসিন্দা। গতবার ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের বাজেট ছিল ২১ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। এবার সেটাই বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে চলেছে। মমতা এক্ষেত্রেও আগেই রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার বাজেটে। মোদি আজ তাই মমতাময়। মমতার দেখানো রাস্তাতেই হেঁটে তিনি এখন চাইছেন সাফল্যের মুখ দেখতে। বিরোধিতা আজ তাই অতীত। হাতে হাত ধরে তাই দুইজনের হাঁটাহাঁটিই দেখতে পাবেন দেশের মানুষ। What Mamata Thinks Today, Modi Thinks Tomorrow.

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর