এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জিএসটি কমাতে চান মোদি, বাজেটের আগেই পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে থাকা বিজেপির(BJP) ভোট ব্যাঙ্কের একটা বড় অংশই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। অথচ সেই ব্যবসায়ীরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন জিএসটি(GST) লাগু হওয়ার জেরে। এই নতুন কর পদ্ধতি লাগু হওয়ার আগে দেশজুড়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার আগেই কার্যত গায়ের জোরে তা চালু করে দেয় মোদি সরকার(Modi Government)। তার জেরেই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২৪ সালে যে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হারিয়ে বসে থাকবে গেরুয়া শিবির সেটা বুঝতে দেরি লাগেনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। ১৫ বছর ধরে হাতে থাকা দিল্লি পুরনিগম এবং হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতা হাতছাড়া হতেই এবার পদ্মশিবিরের নেতারা বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন। কেননা তাঁরা বুঝতে পারছেন, দ্রুত কিছু পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে। এই অবস্থায় উপায় বাতলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। তিনি জিএসটির সংশোধনী চান। মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যদ্রব্যের ওপর লাগু হওয়া জিএসটির হার কমাতে চান তিনি। আর সেটা কেন্দ্রীয় বাজেটের(General Budget) আগেই।

আরও পড়ুন রাজ্যের স্কুলগুলিতে ভর্তির জন্য শুক্র থেকে শুরু ফর্ম বিলি

দেশজুড়ে মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি কার্যত নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে আমজনতার। মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দফায় দফায় রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। এই অবস্থায় সময় মতো পদক্ষেপ না নিলে যে আমজনতার ক্ষোভে একের পর এক রাজ্যে পদ্মশিবিরের ভরাডুবি হবে সেটা বুঝতে পেরেই মোদি সরকারের তরফে দ্রুত ও সরাসরি জিএসটি কমিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দামে লাগাম দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী কাল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিলের ৪৮তম বৈঠক। সেখানেই খাদ্যপণ্য সহ নিত্য ব্যবহার্য বহু জিনিসপত্রের উপর জিএসটি কমানোর প্রস্তাবে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় মোদি সরকারের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে আগামি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার আগে এটাই শেষ জিএসটি কাউন্সিশ্লের বৈঠক হতে চলেছে। তাই একসঙ্গে বেশ কিছু প্রস্তাব এই বৈঠকেই অনুমোদন করিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র, অন্তত সাউথ ব্লক সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নাম না করে মোদি সরকারকে খোঁচা বিগ বি’র

কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী বদল আনতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী? সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদি চাইছেন কিছু পণ্যের ওপর লাগু হওয়া জিএসটির হারে বদল আনা। সেই সঙ্গে জিএসটি’র জটিলতা এবং অভিযোগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে স্থায়ী ট্রা‌ইব্যুনাল স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে সূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া। পাশাপাশি দেশজুড়ে কর ফাঁকির প্রবণতা কমাতে জিএসটিকে কিছুটা বাণিজ্যবান্ধব করে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী। মূলত বিজেপি ভোট ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ক্ষতিপূরণের জন্যই তিনি এমনটা চাইছেন। এছাড়া এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে যে পণ্যগুলির জিএসটি কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে, তার মধ্যে মূলত থাকতে পারে খাদ্যপণ্য ও স্বাস্থ্য তথা চিকিৎসা পরিষেবা। গত জুলাই মাসে বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের দামের রদবদল ঘটানো হয়েছিল। বেড়েছিল প্যাকেটজাত দুধ, দই, পনির, মাখন, মাংস, মাছ, ময়দার। প্যাকেটজাত ফলের রস অথবা হেলথ ড্রিংকসের ওপর জিএসটি চেপেছিল ১২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের এই বর্ধিত জিএসটি কমানোর পদক্ষেপ এবার করতে চলছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন মমতার মাস্টার স্ট্রোক, অমিতাভকে ফের ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি

পাশাপাশি, প্রিপ্যাকেজড এবং প্রিলেবেলড তথা ব্র্যান্ডেড যে সব খাদ্যপণ্যের ওপর ১২ ও ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে, সেগুলিরও ট্যাক্স কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। রান্নাঘরে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের ওপরেও ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে। কাটছাঁট করা হতে পারে সেই তালিকাকেও। এছাড়া এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, ১ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি ধরা পড়লে এক বছরের জেল হতে পারে, আর ২ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সর্বাধিক ৫ বছর। এখানেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ২ কোটি বা তার বেশি কর ফাঁকি দিলে তবেই থাকতে পারে কারাবাসের বিধান। ১ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত কর ফাঁকির ক্ষেত্রে কর মিটিয়ে দেওয়ার নতুন সময়সীমা ধার্য হতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর