নিজস্ব প্রতিনিধি: নিত্যদিন স্বামী মদ্যপ অবস্থায় রাতে বাড়ি ফিরে অশান্তি বাঁধাত। সেই সঙ্গে মারধর করত স্ত্রী আর মেয়েকে। শেষে কিছুটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন সেই মহিলা। দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেই শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলা(Maheshtala) থানা এলাকার রায়পুর মুক্তিপাড়া এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রতিবেশীরা দগ্ধ(Burnt) মা-মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাদের মৃত(Dead) বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার সময় বাড়ি ছিলেন না ওই মহিলার স্বামী। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরলেও স্ত্রী ও মেয়ে মারা গিয়েছে শুনেই গা ঢাকা দেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে ডালিয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় রহমান মুক্তির। তাঁদের দু’টি কন্যাসন্তান রয়েছে। ছোট মেয়ের বয়স আমাত্র দেড় বছর। বড় মেয়ের বয়স ৪ বছর। প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ার জেরেই ডালিয়ার সঙ্গে রহমানের অশান্তির সূত্রপাত। সেই অশান্তির জেরেই নিত্যদিন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত রহমান। ছোট মেয়ে হওয়ার পরে সেই অশান্তি আরও বেড়ে যায়। এবার মদ খাওয়ার পাশাপাশি মারধরও শুরু করেছিল সে। তার জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ডালিয়া। মঙ্গলবার সকালে ছোট মেয়েকে কোলে নিয়েই ঘরের দরজা বন্ধ করে গায়ে আগুন লাগায় ডালিয়া। পরে যন্ত্রণায় সে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। তড়িঘড়ি মা-মেয়েকে তাঁরা বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই ২জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।