নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য ২০২৪, জাতীয় স্তরের সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানার পর টার্গেট মেঘালয়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে একধাক্কায় ১১ জন কংগ্রেস সাংসদ সহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা তৃণমূলে চলে আসেন। যার ফলে বিজেপির জোট সরকারের এই রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। গত সোমবার কলকাতায় কালীঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুকুল সাংমা সহ বাকি দলত্যাগী বিধায়করা। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে সাংবাদিক সম্মেলনে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তিনি জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেস দলে কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী হতাশ হয়ে পড়েছে। তাদের পক্ষেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।’
গত সোমবারই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মেঘালয় শাখার সভাপতি করা হয়েছে চার্লস পিংগ্রোপকে। তিনি সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার মেঘালয়ে সংগঠন বিস্তরে কাজ করবে তৃণমূল। আগামী মার্চ মাসেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সময় হাতে নেই, আর দ্রুত সংগঠন গড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল সাংমা কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের আচরন বদলে গিয়েছে। ক্রমশ কোণঠাসা করা হচ্ছিল আমাকে। কথার গুরুত্ব দিত না, এইভাবে কাজ করা যায় নাকি।’
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘মেঘালয়ের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে সচেষ্ট হয়েছেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখে আনন্দ হচ্ছে যে তৃণমূল বাংলা থেকে যাত্রা শুরু করে ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও শক্তিশালী হওয়ার আশা রাখি।’