নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ ঘন্টা আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের(Bhangar) প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের নেতা আরাবুল ইসলাম(Aarabul Islam)। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসন ও জেলার দলীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার পরে পরেই সামনে এল আগামী ২ জানুয়ারি রাজ্য পুলিশের(WB Police) হাত থেকে ভাঙড় থানার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। ওইদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার দায়দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাত থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে চলে আসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ভাঙড়ে রাজনৈতিক হিংসা গোটা রাজ্যের তো বটেই, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিল। সেই হিংসাত্মক ঘটনার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশকে ভাঙড় অধিগ্রহণের নির্দেশ দেন। তারপরই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় পুলিশ প্রশাসনের অন্দরে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবসে ভাঙড় অধিগ্রহণ করবে লালবাজার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবসে ভাঙড় অধিগ্রহণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে পুজোর মুখে অধিগ্রহণ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার ২ জানুয়ারি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে। আর যেহেতু কয়েক মাস বাদেই ফের আরও একটা ভোটের দামামা বেজে উঠবে, তাই চোখ বন্ধ করে বলা যায়, ২৪’র ভোটে রাজনৈতিক হিংসায় জর্জরিত ভাঙড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করানো কলকাতা পুলিশের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে।
তবে ঘটনা হচ্ছে, আরাবুলের নিরাপত্তা চাওয়ার পরে পরেই ভাঙড়ের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের হাতে উঠে আসতে চলায় অনেকেই মনে করছেন এই ঘটনার পিছনে আরাবুলের নিরাপত্তাহানীতায় ভোগা একটা অন্যতম কারণ হয়ে থাকতে পারে। আরাবুল কাল জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। সঙ্গে এটাও বলেছিলেন, পঞ্চায়েতে ভোটপর্বের সময় থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর এলাকাতেই আইএসএফের কর্মীরা থেকে থেকেই তাঁকে আটকে রাখছে, ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ভাঙড়ের বর্তমান তৃণমূল নেতৃত্ব সেই জায়গায় কিছুই করছে না। তাঁরা কার্যত হাতগুটিয়ে বসে আছে। তাই বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।