নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিপুজো এখনও ২ দিন বাকি। তার আগেই অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে রাতের দিকে কলকাতা ও শহরতলির বুকে অকাতরে শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে উত্তর শহরতলির পানিহাটির(Panihati) বাসিন্দারা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তাঁদের এলাকায় এদিন কী ভয়ানক ঘটনা ঘটতে চলেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা-পৌনে ১১টা নাগাদ হঠাৎই প্রবল বিস্ফোরণের(Blast) আওয়াজ শুনতে পান পানিহাটি পুরসভার তেজপাল এলাকা এলাকার বাসিন্দারা। দেখা যায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ও সেই বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বাড়ির দরজা-জানলার কাঁচ ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু বাড়ির দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। সব থেকে মারাত্মক দৃশ্য ছিল, যে বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটির একাংশ তো ধসে গিয়েইছে সেই সঙ্গে ভিতর থেকে ভেসে আসছে গোঙানির শব্দ। বাসিন্দাদের একাংশ উঁকি মেরে দেখেন, ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই বাড়ির বাসিন্দা এক যুবক(Youth)। একটা হাত কার্যত উড়ে(Hand Lost) গিয়েছে। ঝলসে গিয়েছে শরীরের একাংশ।
জানা গিয়েছে, পানিহাটির বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। যে যুবকের হাত উড়ে গিয়েছে তার নাম জিতেন্দ্র গুপ্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ওই যুবককে প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার(Khardaha PS) পুলিশ। পুলিশ এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটিতে মজুত থাকা বোমাগুলি(Bombs) উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কী ভাবে বিস্ফোরণ, কেন বোমা মজুত করে রাখা ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বোমাগুলি বালির বস্তায় করে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই বাড়িতে বোমা কী ভাবে এল, সেগুলি কেমন বোমা, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দা তথা খড়দহ শহর তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। কী হয়েছে দেখতে দৌড়ে আসি। এই এলাকা এমনিতে শান্ত, কোনও ঝুটঝামেলা থাকে না। তা-ও এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিশ্চয়ই প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।’