এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘জংলাধারী কে হে তুমি, কার হুকুমে গিয়েছিলে তুমি’, প্রশ্ন পুলিশের

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাম তার কাজি সাদেক হোসেন(Kaji Sadek Hossain)। তিনিই জংলা পোষাকের সঙ্গীদের নিয়ে দিন কয়েক আগে ঢুকে পড়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University)। প্রথমে তাঁদের দেখে ভারতীয় সেনা(Indian Army) বলেই ভুল করেছিলেন অনেকে। ভুল হবে নাই বা কেন! তাঁদের, চালচলন থেকে শুরু করে কথাবার্তা সবকিছুই যে ছিল সেনার মতো। ঢোকা মাত্রই তাঁদের সকলের মুখে একটাই, যাদবপুরে অশান্তির খবর পেয়ে তাঁরা নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছেন। নিজেদের বিশ্ব শান্তি সেনা বলেও পরিচয় দেন। স্পষ্ট বলেন দেশের যেখানেই অশান্তি হবে সেখানেই নাকি পৌঁছে গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন তাঁরা। সেটাই নাকি তাঁদের কাজ। অবশেষে সেই কাজি সাদেক হোসেন গ্রেফতার(Arrest) হয়েছেন পুলিশের(Police) হাতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটাই, ঠিক কার হুকুমে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে যাদবপুরে চলে গিয়েছিলেন? পিছনের মাথাটা কে?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় চলছে ঠিক তখনই সাদেকের কাজকর্ম ঘিরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল নানা মহলে। ঘটনার দিন সাদেক নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি(General Secretary of Asian Human Rights Society) বলে দাবি করেছিলেন। সেদিন সেনার পোশাক পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে ঘুরে বেড়ানোয় নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। চলে। সেনা পোশাকে একদল ছেলেমেয়ে ক্যাম্পাসে কী উদ্দেশ্যে ঢুকেছিল? মানবাধিকার সংগঠন এভাবে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ঘুরছে কেন? তাঁদের কে বা কারা ক্যাম্পাসে যেতে বলেছিলেন? ‘সেনার পোশাকে কারা গেল, তা তদন্তের বিষয়, আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’ বলে দাবি করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এই ঘটনার জেরে যাদবপুর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। শুধু তাই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে শুক্রবার নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। সেদিনকার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিসও পাঠায় পুলিশ। যদিও উপাচার্য নোটিসের কোনও উত্তর শনিবার বিকেল পর্যন্ত দেননি বলে লালবাজার সূত্রে খবর।

তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য জানিয়েছিলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে জানবে কে আসছে, কী পোশাকে, তারা নিষিদ্ধ কিনা? পুলিশের কাছে তথ্য থাকলে ওরা আটকাল না কেন? ক্যাম্পাসে ওরা ঢুকল কী করে?’ কার্যত গোটা ঘটনাটি উপাচার্য পাশ কাটিয়ে দিতে চাইছেন বলে সন্দেহ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে যে এই ঘটনার পিছনে গেরুয়া যোগ রয়েছে কিনা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তবে সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢোকার ঘটনায় রেজিস্ট্রার অবশ‌্য যাদবপুর থানাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এরপরে পরেই পুলিশ কাজি সাদেক হোসেনকে নোটিস দিয়ে গার্ডেনরিচ থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল শনিবার। কিন্তু প্রথমে তিনি না সেই নোটিস গ্রহণ করেছিলেন, না থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে শনিবার রাতেই তাকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় তিনি সেই নোটিস গ্রহণ করেন। তারপর রাতেই তাকে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। রাতভর ধরে চলে সেই জিজ্ঞাসাবাদ। ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন দুপুরে তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল ! কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর