নিজস্ব প্রতিনিধি: আশঙ্কা আগেই ছড়িয়েছিল। এবার সেটাই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ভাঙড়ের(Bhangar) বুকে এক তৃণমূল(TMC) কর্মী খুনের ঘটনায় সেখানকার ISF নেতা তথা বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকি(Nowshad Siddiqui) সহ মোট ৬৮জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ(Police)। সেই মামলার জেরে আগামীদিনে নওশদকে গ্রেফতার করার রাস্তা করে নিল পুলিশ। তবে আদালত থেকে নওশদ রক্ষাকবচ পেলে সেই গ্রেফতারি চট করে লাগু নাও হতে পারে। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, এই সংখ্যালঘু নেতা এবার বড়সড় বিপাকে পড়ে গেলেন। কেননা এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে খুনের কোনও অভিযোগ ছিল না। এবার সেই অভিযোগ যুক্ত হয়ে গেল।
আরও পড়ুন রাজ্যের স্পর্শকাতর ৬ জেলায় বাড়তি নজরদারি কমিশনের
গত ১৫ জুন ভাঙড়ের বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন হাটগাছা এলাকার বাসিন্দা রাজু নস্কর। কিন্তু BDO অফিসে পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে পিটিয়ে খুন করে। সেই খুনের ঘটনায় রাজু নস্করের জামাই ঋত্বিক নস্কর ভাঙড়েরই কাশীপুর থানায় গত ১৬জুন নওশদ-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন নওশদ। তিনিই চক্রান্ত করে দুষ্কৃতীদের প্ররোচিত করেছেন এই ঘটনা ঘটাতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ নওশদ সহ ৬৮জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। নওশদের বিরুদ্ধে ২৭৭ নম্বর এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটে নয়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ঋত্বিক নস্করের দাবি, ঘটনার দিন তিনি শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গেই ছিলেন। মনোনয়ন জমা করানোর জন্য হাটগাছার কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর ভাঙড় ২ ব্লকের দিকে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। পানাপুকুরের কাছে তাঁদের দু’জনকে ফেলে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। তাদের কাছে বোমা-বন্দুকও ছিল। দুষ্কৃতীরা ইট দিয়ে থেঁতলে এবং টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর শ্বশুর রাজু নস্করকে খুন করে। এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে গুলিও করে। কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় নওশদের দল ISF জড়িত। ওই দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। তাঁর আরও দাবি, নওশদের ‘চক্রান্ত এবং প্ররোচনা’য় এই হামলা চালানো হয়েছে।