নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ও ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তে নাম রয়েছে সুফিয়ানের। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর মামলাও রয়েছে। সেই মর্মে সিবিআই জেরার মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট তথা তৃণমূল নেতা। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও বাদ যান সুফিয়ান। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই যাতে গ্রেফতার না করতে পারে তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুফিয়ান। আর সেই মামলার ভিত্তিতে শেখ সুফিয়ানকে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না বলেই জানিয়েছে আদালত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই মামলায় নন্দীগ্রামে গত ৩ মে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের। বাকি কিছু অভিযুক্তকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও শেখ সুফিয়ানের নাম বাদ থাকায় নাম না করেই হুমকি দিতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই গ্রেফতার করবে এই ভবিষ্যৎ বাণী বারবার করতে থাকেন তিনি। তাই সেই মামলায় রক্ষাকবচের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ সুফিয়ান। বুধবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছে এই মামলার শুনানি। সেখানেই সুফিয়ানকে স্বস্তি দিয়ে ১২ দিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত।
বুধবার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা সকলেই নন্দীগ্রামে আছেন। তাঁরা ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করছেন। এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা হবে না বলে বিচারপতিকে জানান দস্তুর। তাতে সম্মতি জানান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৯ নভেম্বর রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তত দিন সিবিআই গ্রেফতার করতে পারবে না সুফিয়ানকে।