নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ কুড়ি মাসের বেশি সময় ধরেই বন্ধ ছিল স্কুলের দরজা। যা একাধিক নিয়ম মেনে গত ১৬ নভেম্বর খুলেছে। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কথা মাথাতে রেখেই শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলছে। বাকি শ্রেণির ক্লাস চলছে অনলাইনেই। যদিও শিক্ষা দফতরের ইচ্ছা ছিল জানুয়ারি মাস থেকেই ধীরে ধীরে পঞ্চম থেকে অষ্টম ও পরবর্তীতে প্রাথমিকের ক্লাস খোলার। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধা দিচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। সেই কাঁটায় দেশের একাধিক রাজ্য স্কুল বন্ধের চিন্তাভাবনা করলেও বাংলায় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে স্কুল খোলার। যদিও ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে আপাতত প্রাথমিক স্কুলের দরজা বন্ধই রাখছে রাজ্য সরকার। তবে প্রাথমিক বিভাগের স্কুল যখনই খোলা হোক না কেন পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিচ্ছে শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক স্কুল খোলার আগেই পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মেরামতির কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। আগেই উচ্চ-প্রাথমিকে স্কুলের মেরামতি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করেছিল শিক্ষা দফতর। এবার প্রাথমিক বিভাগের আওতায় থাকা সমস্ত বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। করোনা কালেই প্রাথমিক স্কুল গুলি বন্ধ ছিল। এর মাঝে বন্যা, ও আমফান-যশের মত ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেগুলি মেরামতির জন্যই মূলত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। একটি জেলার ২৫ টি ব্লক ও ৮ পুরসভার প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য অনুমোদিত হয়েছে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি টাকা। সূত্রের খবর, প্রায় সব জেলার স্কুলই পুনরায় খোলার জন্য পরিকাঠামো খাতে উন্নতির জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। জেলা শাসক মারফত বিডিওদের কাছে ওই টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াকিবহল মহলের মতে, হয়ত দ্রুতই প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি খুলে দেওয়া হবে। তাই শিক্ষা দফতর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেই উচ্চ প্রাথমিক স্তরে অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুল গুলি খোলার আগে সাফাই এবং সংস্কারের জন্য স্কুলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের জন্য সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। এবার প্রাথমিক স্কুলের জন্যও আর্থিক বরাদ্দ হল।