নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাবা যায় এত কিছুর পরেও কেউ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে(Partha Chattopadhay) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে! নাহ বিন্দুমাত্র মিথ্যা নয়। এই ঘটনা চোখে পড়েছে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি(ED) আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পেশ করেন ইডির আধিকারিকরা। অর্পিতা – পার্থর হাজিরা ঘিরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল ৪.২০ মিনিট নাগাদ ইডি ২ জনকে আদালতে পেশ করে। তার আগে ধৃতদের নিরাপত্তার স্বার্থে এজলাস খালি করে দিতে বলেন বিচারক। এজলাস থেকে লক আপে ফেরার পথেই ঘটে সেই ঘটনা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রণাম করেন তাঁর এক অনুগামী। নাম তাঁর দেবনাথ রায়। বাড়ি হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার উত্তরপাড়ায়। শুধু প্রণাম করাই নয়, তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ভেঙে পড়বে না দাদা। আমরা আছি তোমার সাথে। নিশ্চিন্তে থাকো। কিচ্ছু হবে না।’ উত্তরে পার্থ’ও বলে ওঠেন ‘তোরা ভালো থাকিস।’ পার্থ চলে যেতেই হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি। পরে জানালেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি। দিদি দল তৈরি করেছেন এটা যেমন সত্যি তেমন পার্থ দা, বক্সিদার অবদানও ভোলা যাবে না।’
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে এই ঝড় যখন বাংলাকে কাঁপাচ্ছে ঠিক তখনই সেই ঝড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আমতলার(Aamtala) বাসিন্দা শুভ্রা ঘোড়ুই(Subhra Ghoroi)। কেননা এই সেই মহিলা যিনি জোকা(Joka) ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছুঁড়ে মেরেছেন। এখন অনেকের চোখেই তিনি কার্যত ‘জ্যান্ত দুর্গা’ হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছেন, বিশেষ করে বিজেপির কাছে। যদিও এটা ঘটনা যে শুভ্রা কীভাবে এই ঘটনা ঘটালেন আর কেনই বা তিনি এখনও ওই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন না। জুতো ছোঁড়া বদলে তিনি তো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গুলি করেও মেরে দিতে পারতেন। বিজেপি আর ইডি কী তাঁকে ফিট করে রেখেছিল আগে থেকেই পার্থকে জুতো মারার জন্য? এই প্রশ্ন কিন্তু এখন ক্রমশ জমাট বাঁধছে। কেননা ৮৬জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) জওয়ানের উপস্থিতি এই ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে শুভ্রা পার্থ’র দিকে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এড়িয়ে জুতো ছুঁড়লেন? কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে বাধা দিল না কেন? আরও বড় প্রশ্ন ওই ঘটনা ঘটিয়ে শুভ্রা চলে গেলেনই বা কী করে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রা বা ইডির আধিকারিকেরা শুভ্রাকে আটকালেন নাই বা কেন? এখনও তাঁরা শুভ্রার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেননি। শুভ্রা যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন সেটা পার্থ’র বদলে কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে ঘটলেও কী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বা ইডির আধিকারিকেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতেন? প্রশ্ন কিছু বাড়ছে।