নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পাশাপাশি বর্তমানে সারাদেশের নজর ভবানীপুর উপনির্বাচনে। প্রচারের শেষদিনে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল যেখানে। এবার সেই ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দশে দিল নির্বাচন কমিশন। এদিন সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে শুরু করে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন মাঝরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফে।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারের শেষদিন অর্থাৎ সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করলে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক তাক করে তৃণমূল কর্মীদের ওপর। ওই ঘটনার পরই বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ১৪৪ ধারা জারি করার আবেদন জানিয়েছিল তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই কার্ফু জারি করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
আর ৩৬ ঘণ্টা পরেই চলতি দশকের অন্যতম হেভিওয়েট নির্বাচন দেখবে রাজ্যবাসী। সেই কারণেই আগেভাগে ১৪৪ ধারা জারি করা হল গোটা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে। লালবাজারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলেই একটি নির্দেশিকা জারি করে ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা লাগু থাকাকালীন একসঙ্গে পাঁচজন বা তার বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। একইসঙ্গে ভোটের সময় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সোমবার ভোট প্রচারের শেষ দিন যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আটজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় এই গ্রেফতারি। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে, ভবানীপুর উপনির্বাচনে কোনও বাধা থাকছে না। আদালত বলেছে, একবারে শেষ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত।