নিজস্ব প্রতিনিধি : ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতেও এবার তদন্ত ও তল্লাশি অভিযানে নামলো ইডি দফতর। মঙ্গলবার সাতসকালে মোট ছটি দলে ভাগ হয়ে ইডি অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম এবং মুর্শিদাবাদ ও হুগলী জেলায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী,এবার নজরে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়্গ্রাম শহরের বিশালবহুল আবাসনে অভিযানে নামল ইডির আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক আটটা নাগাদ ঝাড়্গ্রাম শহরে ED-র হানা দেয়।
সকাল হতে না হতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের এক প্রতিনিধি দল ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং block -B সরকারি আবাসনে অভিযান চালায়। সূত্রের খবর WBCS এর এক আধিকারির বাড়িতে অভিযান শুরু করে।প্রায় সাত ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির আধিকারিকরা একে একে বেরিয়ে যান । এদিকে শুভ্রাংশু মন্ডল এর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছিল তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে তিনি নারাজ। তাহলে কি সমস্ত অভিযোগ সত্য তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকে গেল । মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সল্টলেকের ইএ ব্লকে এক বিডিওর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। ওই বিডিওর নাম এস কে পান। মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ সল্টলেকের বিদ্যাসাগর নিকেতন আবাসনে এস কে পানের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও ঘিরে তল্লাশি চালায় ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মঙ্গলবার সকালে আলো ফুটতেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ইডি হানা দেয়।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে(Baharampur) বিষ্ণুপুর কালিবাড়ি অঞ্চলে নওদার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ পঞ্চায়েত মেম্বার রথীন্দ্রনাথ দে’ র বাড়িতে ইডি হানা দেয়।কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেখা প্রকল্পের ১০০ দিনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪ কোটি টাকা নয় ছয় অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন।নওদা পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় পুলিশের নজরে তিনি ছিলেন। এলাকা সুত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস তিনি ঘর ছাড়াও ছিলেন বলে জানা যায়।বিষ্ণুপুরের আরো একটি বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান হয়। সঞ্চয়ন পান নামে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এর বাড়িতে ইডি (ED)তল্লাশি অভিযান চালায়। একশ দিনের কাজের প্রকল্পের (DNO) ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার ছিলেন তিনি।এদিকেহুগলি জেলাতেও ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে শিকড় খুঁজতে চন্দননগরে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা।
খাদ্য দুর্নীতি ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরতলীর পাশাপাশি জেলায় জেলায় তল্লাশি অভিযান করে ইডি। এদিনের এই তল্লাশি অভিযানে সব টিমেই একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সিনিয়র অফিসাররা ছিলেন। যাতে সন্দেশখালি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের মত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তবে কোথাও এদিন বাধার মুখে পড়েনি ইডি অফিসাররা। জোর কদমে ছ’টি টিম তল্লাশি চালায়।