নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিস্কার করা হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee)। মঙ্গলবার রাজ্যের শাসকদলের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা। সেই বৈঠকে দুই যুব নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের কথা জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। গ্রেফতারির প্রায় দেড় মাস পর কুন্তল ঘোষকে সাসপেন্ড করল দল। অন্যদিকে গ্রেফতারির ৫ দিনের মাথায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণ করা হল পদ থেকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূল নেতাদের যেমন ডাকা হচ্ছে, বিজেপি নেতাদের কেন ডাকা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বা বেআইনি সম্পত্তি ধরা পড়েছে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। এর দায় দল কোনওভাবে নেবে না। তিনি বলেন, পার্টি অফিস থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। তবুও তৃণমূলকে জড়িয়ে এক শ্রেণীর সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, বিরোধী দলের নেতা অর্থাৎ বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের ঘনিষ্ঠরা নিয়োগ দুর্নীতিতে ফেঁসেছেন। তাঁদেরকেও তদন্তের আওতায় আনা হোক। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব সুকুলের চাকরি গিয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে কোনও হইচই হচ্ছে না। শাসকদলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে খাপ পঞ্চায়েত চালানো হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হন শিক্ষামন্ত্রী।