নিজস্ব প্রতিনিধি: বারবার চিঠি দিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিলেও এড়িয়ে যাচ্ছিল কেন্দ্রের দুই তদন্তকারী সংস্থা। তাই রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারের হাজিরার চিঠির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যায় সিবিআই ও ইডি। কিন্তু সেখানে গিয়েই মুখ পড়ে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। এর বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সোমবার ওই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, স্পিকারের চিঠিকে সমন হিসেবে ধরছেন কেন? এটাও তো হতে পারে কোনও আলোচনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, সিবিআই অফিসারদের বলুন একবার অন্তত হাজির হতে স্পিকারের সামনে। আর সেই নির্দেশের পড়েই সোমবার বিকেল ৪ টের সময় বিধানসভায় হাজিরা দেয় সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা।
আজ বৈঠকের পর আগামী ৭ অক্টোবর ফের দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাজিরা দিতে জানিয়েছেন স্পিকার। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনেই কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে অধ্যক্ষকে না জানিয়ে নারদা মামলায় বিধানসভার তিন সদস্য মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে তুলে এনে গ্রেফতার করে সিবিআই। চার্জশিটে নাম দেয় ইডি। কিন্তু বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আইনসভার সদস্যদের নাম চার্জশিটে দিতে গেলে বা গ্রেফতার করতে গেলে স্পিকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সেই পথে না গিয়ে স্পিকারকে বাইপাস করায় ক্ষুদ্ধ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের চিঠি পাঠায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। যার প্রেক্ষিতে আদালত যায় তারা।
সেই মামলায় সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ, সুতরাং, তিনি ডাকলে সিবিআইকে হাজিরা দিতে হবে। তাই আদালতের নির্দেশে হাজিরা দেয় সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। যদিও ইডির তরফে জানানো হয়েছে তারা আদালতের নির্দেশের আগেই বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছেন।