নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) উচ্চশিক্ষার(Higher Education) ক্ষেত্রে সুখবর। কলকাতার(Kolkata) St. Xavier’s University এবার নিউটাউনে(Newtown) তাঁদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনা নিচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তাও শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের(Second Campus) জন্য রাজ্য সরকারের জমি চেয়েছে এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(Vice Chancellor) Dr. John Felix Raj জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ার সংখ্যা ১০ হাজারে নিয়ে যেতে চান। সেই কারণেই তাঁদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির প্রয়োজনীয়তা এসে পড়েছে। নতুন ক্যাম্পাসে বেশ কিছু নতুন যুগোপযোগী কোর্সও চালু করতে চান তাঁরা। জমি পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এই বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন Dr. John Felix Raj। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন এবং জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন St. Xavier’s University ‘র উপাচার্য Dr. John Felix Raj? তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। নিউটাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস খোলার জন্য তাঁর কাছে আমরা অতিরিক্ত ১০.৭ একর জমি চেয়েছি। এখন আমাদের যে ক্যম্পাস রয়েছে সেটির পরিমাপ ১৭.৫ একর। আমরা বেশ কিছু নতুন কোর্স চালু করতে চাই, পড়ুয়াদের সংখ্যাও বাড়াতে চাই। সেই কারণেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা এসে পড়েছে। আশা রাখছি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আর্জি রাখবেন। আগামী বছর আমাদের বর্তমান ক্যাম্পাসে মেয়েদের জন্য নতুন একটি হোস্টেল চালু করতে চলেছে আমরা। সেটির নাম হবে মাদার টেরেসা হোস্টেল। সেটি চালু হয়ে গেলে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ ছাত্রী সেখানে থাকতে পারবে। আমাদের বর্তমান ক্যাম্পাসে নতুন একটি ভবনও তৈরি হচ্ছে যেখানে ২২৫টি ক্লাসরুম থাকছে।’
এর পাশাপাশি Dr. John Felix Raj জানিয়েছেন, ‘বর্তমান ক্যাম্পাসে নতুন করে আর কোনও নির্মাণ সম্ভব নয়। নতুন নির্মাণ হলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমি চেয়েছি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য। বর্তমান ক্যাম্পাসের কাছাকাছির মধ্যেই সেটি হলে ভাল হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ৩৫০ কোটি টাকা আমরা বিনিয়োগ করতে চলেছি। এখন আমাদের পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৫০০। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ হাজার করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি। তবে সেই সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ ও তা চালু হয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত আমরা জমি পাব তত দ্রুত আমরা সেই কাজ শুরু করে দিতে চাই।’