নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর পর থেকেই বারবার দুর্ঘটনায় খবরের শিরোনামে চিংড়িহাটা। দুর্ঘটনার জন্য কখনও গিয়েছে সাধারণ মানুষের প্রাণ আবার কখনও আহত হয়েছেন অনেকেই। এছাড়াও নিত্যদিনের যানজট লেগেই রয়েছে শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি। যা নিয়ে মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ধমকের পরেই চিংড়িহাটা এলাকায় যান মন্ত্রী সুজিত বসু। এলাকাটি তাঁর বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে, সেই জায়গায় শুক্রবার বিকেলে গিয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী।
সেখানে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন দমকল মন্ত্রী। ঘুরে দেখেন চিংড়িহাটা ফুটওভার ব্রীজ। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ডিসি সাউথ (ট্রাফিক), কেএমডিএ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। ফুটওভারব্রিজ পরিদর্শনের পর দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ‘চিংড়িহাটায় কেন একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কী কারণে চিংড়িহাটায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে, কেনই বা যানজট তৈরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেএমডিএ’র তরফে আইআইটি খড়গপুরকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
গত বুধবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক সভায় চিংড়িহাটার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘রোজ রোজ চিংড়িহাটায় দুর্ঘটনা ঘটছে। কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের দ্বন্দ্বের জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। তোমরা বসে সমস্যার সমাধান করো। আর একটিও দুর্ঘটনা চাই না। একজনেরও প্রাণহানি যেন না হয়।’ আর এই ধমকের পরেই সেদিনই চিংড়িহাটা এলাকায় হাজির হয় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার থেকে গার্ডরেল ও আটোঁসাটোঁ নিরাপত্তা দিয়ে মাইকিং করতে দেখা যায় প্রশাসনের আধিকারিকদের।