নিজস্ব প্রতিনিধি : নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মামলাটি যখন একটি নির্দিষ্ট বেঞ্চে বিচারাধীন, তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে ঠিক কাজ করেনি। বুধবার এই কথাই জানাল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার ওপরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া চলবে।
এদিন মামলা চলাকালীন বিচারপতি সৌমেন সেন জানান, আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার রয়েছে। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন উষ্মাপ্রকাশ করেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নুমনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন একই বিষয় নিয়ে মামলা বিচারাধীন, তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ঠিক নয়। এটি বিচার বিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহারণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা। ইডি যদি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ সম্পর্কে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে অবগত না করে, তাহলে তারা ভুল কাজ করবে। ইডির উচিত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে দ্বারস্থ হওয়া।
এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহার পক্ষে সওয়াল করে ইডির আইনজীবী জানান, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কী ভুল রয়েছে। তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। ইডির এই যুক্তির পর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বুধবার রাতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের পরই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করতে তৎপরতা শুরু হয়ে যায় ইডির তরফে। সেদিনই সুজয়কৃষ্ণকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য।