নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। আপাতত প্রাথমিকে নতুন করে কোনও শিক্ষক নিয়োগ(Teachers Recruitment) করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ(WBBPE)। শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। এর ফলে প্রাথমিকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ ধাক্কা খেল। গতবছর যে TET নেওয়া হয়েছিল, সেই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, এখন তাঁদের ওপরেই কার্যত খাঁড়া নেমে এল।
আরও পড়ুন অভিষেক ও রুজিরার বিরুদ্ধে Look Out Notice প্রত্যাহারের সুপ্রিম নির্দেশ
২০২২ সালের TET উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা DL.ED প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়ার জন্য। তাঁদের প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ না হওয়ার জন্য তাঁরা পর্ষদকে দুষেছিলেন। যাতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে তাঁদের বসতে দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি নির্দেশে জানিয়েছিলেন, যে সব চাকরিপ্রার্থী DL.ED’র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদেরকেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শামিল করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন, DL.ED পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার কারণেই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। তাঁদের বক্তব্য শুনে DL.ED পরীক্ষার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন আসানসোল থেকে বন্দে ভারত, হাওড়া থেকে বুলেট
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল School Service Commission বা SSC। সেই মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, নিয়োগের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন পর্যন্ত যাঁরা DL.ED পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানিতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।