নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের শীর্ষ আদালতে সুপ্রিম স্বস্তি বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Rujira Banerjee)। কেননা এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে তাঁদের দুইজনের বিরুদ্ধে Enforcement Directorate বা ED যে Look Out Notice জারি করেছে তা তাঁদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তবে এবার থেকে বিদেশযাত্রার সাত দিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে অভিষেক-রুজিরাকে, এমনটাও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কিসন কউল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল অভিষেকের বিদেশ যাত্রা সম্পর্কীত মামলার শুনানি। সেখানেই এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন অভিষেকের বিরুদ্ধে গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ালেই কড়া পদক্ষেপ
সুপ্রিম কোর্টে এদিন ED’র আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী সাংসদ। প্রায়ই দিল্লিতে আসেন, তাহলে ED অফিসে এসে জেরায় অংশ নিতে সমস্যা কোথায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আর এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে চায় ED। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রায়ও কোনও বাধা নেই। ED-কে এক সপ্তাহ আগে জানালেই হবে। এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ED। বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা দেওয়া হবে না।’ একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে জেরা করা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দিল্লি নয়। জেরা করা যাবে একমাত্র কলকাতাতেই। খতিয়ে দেখা হবে সিআরপিসি এবং পিএমএলএ ধারা। সমস্ত পক্ষকে জমা দিতে হবে হলফনামা। দুই মাস পর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন আসানসোল থেকে বন্দে ভারত, হাওড়া থেকে বুলেট
এই মুহূর্তে অভিষেক চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা গিয়েছেন। এই বিদেশযাত্রা নিয়ে তিনি ED এবং আদালতকে আগে থেকে জানিয়েছিলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বড় স্বস্তি মিলল তাঁর। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানিকালে অভিষেক-রুজিরার হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিদেশ গিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী। তা জেনে ED’র কাছে বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘অভিষেকের বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিস আছে?’ তাতে ED’র আইনজীবী জানান, ‘শিথিল হয়েছে শর্ত।’ বিচারপতি জানান, ‘বিদেশ চলে গিয়েছেন অথচ লুক-আউট নোটিস, ব্যাপারটা পরস্পরবিরোধী।’ এরপরই বিচারপতিদের নির্দেশ, লুক-আউট নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে।