নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিকে(Upper Primary) ২০১৬ সালের একটি মেধাতালিকায়(Meritlist of 2016) নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম প্যানেলে ৯ হাজার প্রার্থী রয়েছেন। নানা কারণে এদের কাউন্সেলিং(Counseling) বন্ধ ছিল। School Service Commission বা SSC এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরু করার ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, কাউন্সিলিং চালিয়ে যেতে হবে কিন্তু কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলাতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল বন্ধ করা যাবে না উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং। উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের কাউন্সেলিং নিয়ে কার্যত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সেলিং শুরুর নির্দেশ দেয় SSC-কে। কিন্তু সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছিল, কাউন্সিলিং হলেও কমিশন কাউকে নিয়োগপত্র দিতে পারবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে উচ্চ প্রাথমিকে মোট ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করে SSC। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের কাউন্সেলিং বন্ধ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রথম প্যানেলে নাম থাকলেও নতুন প্যানেলে নাম নেই। ‘অস্বচ্ছ’ প্যানেল তৈরি করে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। কাউন্সেলিং বন্ধের আবেদন জানিয়ে সৌমিতা সরকার-সহ ৩৫ জন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আসাউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলারই শুনানি ছিল।
শুনানি চলাকালীন এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং বন্ধ করা যাবে না। কাউন্সেলিং চলতে পারে। তবে কাউন্সেলিংয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট যদি নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়, তা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এখনই কাউন্সেলিং বন্ধ করা যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই কাউন্সেলিং চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে SSC। তবে হাইকোর্ট নিয়োগ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দিলে তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আসাউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না। তবে শীর্ষ আদালত আমাদের আবেদন শুনেছে। হাইকোর্ট নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও নির্দেশ দিলে, তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে বলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে।’