নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যোগেশচন্দ্র ল’কলেজের অধ্যক্ষের মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ ডিসেম্বর।
অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, জালিয়াতি সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে এই নিয়ে মামলা হয়। তাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অধ্যক্ষ।
বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন। ম্যাজিস্ট্রেটকে এড়িয়ে হাইকোর্টে আসা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
বিচারপতি বলেন, “এই মামলার কি কোনও ভাবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে? যেখানে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেন্ডিং। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়ার। সিঙ্গল বেঞ্চের এই মামলায় হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই। এখানে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ করছেন।”
রাজ্যের তরফে বলা হয়, “কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড দফতর এই কেসে তদন্ত করছিল। তারা অকৃতকার্য হয়। তার পরেই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করেন। সিআইডি স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা পুলিশের আওতায় নয়।”
বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, “অ্যান্টি ফ্রড সেকশন তদন্তে অকৃতকার্য হয়ে তারা সিআইডি তদন্ত নিয়ে কিছু বললেন না। আর সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্ত হস্তান্তর করে দিল?” বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী জানতে চান, “সুনন্দা গোয়েঙ্কা তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না, এমন কোন অভিযোগ আছে?” মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন,“প্রিন্সিপালের এই মামলা চ্যালেঞ্জ করার কোনও এক্তিয়ার নেই।” এরপরেই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।