এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অর্জুন গড়ের দায়িত্বে ফের ‘ফেল করা’ শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যারাকপুরের সাংসদ (MP) তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তন করতেই চরম বিপাকে পড়েছে বিজেপি। দিল্লি ছুটে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে  বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বসে বৈঠকে। কারণ, ভাটপাড়া সহ বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় অর্জুন নেই মানে বিজেপি (BJP) শূণ্য, একথা শোনা যাচ্ছে বিজেপির অন্দরেই। ভাটপাড়া ও ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর।  কিন্তু বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন ‘ফেল করা’ শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়ে আদৌ কোনও লাভ হবে কি?

সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপি পর্যবেক্ষক ও বিজেপি সাইবার সেল প্রধান অমিত মালব্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন একাধিক নেতৃত্ব। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২৫ মে ব্যারাকপুরে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক। সেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা শুভেন্দুর।

কিন্তু বিজেপির অন্দরে শুভেন্দুকে একাংশ ‘ফেলু’ নামে ডাকে। দেখা গিয়েছে, যেখানেই বিজেপির দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু, সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সম্প্রতি আসানসোল উপনির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। তাতে বিজেপির লাভ নয়, হয়েছে ভরাডুবি। ব্যাপক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জোড়াফুল শিবির থেকে শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল নিজে স্বীকার করে নিয়েছিলেন দলের ব্যর্থতা। বলেছিলেন, অজুহাত দিয়ে লাভ হবে না।

এদিকে, অর্জুন সিং দল ছাড়ায় বারবার বিজেপির অন্দরেই প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে। বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। উল্লেখ্য, অর্জুন সিং পদ্মশিবির ছাড়ার পর তাঁর সাংসদ পদ এবং নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করতে দিল্লি গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, আলোচনা হবে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও। এদিকে এদিনেই পদ্ম শিবিরের তথাগত রায় বলেছেন, অর্জুনের ঘর ওয়াপসিকে স্বাগত। বাকিরাও কবে যাবেন, তা দেখার। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিজেপিতে তথাগত রায় থাকলে তৃণমূলের দরকার নেই’। আবার অর্জুন সিং পদ্ম ফেলে দেওয়ায় ওই শিবির থেকেই সাংসদ অনুপম হাজরার আক্ষেপ, দল একজন ভাল সংগঠককে হারাল। ভাল নেতা ছিল অর্জুন। বিজেপির ক্ষতি হয়ে গেল। অর্জুন সিং বলেছিলেন, বিজেপি মানে ফেসবুক দল। এসি রুমে বসে রাজনীতি বা কাজ করা যায় না। এই দলে সংগঠন করা লোকেরা কাজ করতে পারে না, বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। অর্জুন হুঁশিয়ারি, তাঁর ছেলে পবন সিং যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। শুধু তাই নয় তিবি বলেন, যে কোনও মুহূর্তে উপ নির্বাচন হলে তিনি প্রস্তুত। তাঁর দাবি জয়ী হবে তৃণমূল। বলেন, উন্নয়ন মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বলেন, তৃণমূল ছেড়েছিলেন ভুল বুঝে। এখন জোড়াফুল শিবির তাঁকে যা দায়িত্ব দেবে, তিনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন। অর্জুন দাবি করেছেন, আরও ৫ সাংসদ তৃণমূলে যোগ দেবেন শীঘ্রই। শুধু তাই নয় বিজেপি শিবিরে শোনা যাচ্ছে ৭ সাংসদ ছাড়তে পারেন দল।

উল্লেখ্য, পুরভোটে খর্ব হয়েছিল অধিকারী পরিবারের ৩১ বছরের গর্ব। কাঁথি ছিল শুভেন্দু গড় নামেই পরিচিত। তবে ভোটের ফলে দেখা গিয়েছিল বিজেপি শিবিরের জয়জয়কার। শুভেন্দুর নিজের গড়েই হার হয়েছিল বিজেপির। বিজেপিতেই প্রশ্ন, বারবার ‘ফেলু’ শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়ে কি লাভ হবে গেরুয়া শিবিরের। না কি জুটবে ‘চিরপরিচিত শুভেন্দু নেতৃত্বে ব্যর্থতা’।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে কত নম্বর লাগবে? জানিয়ে দিল পর্ষদ

‘দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে’, কুণালকে তোপ জেলবন্দি পার্থর

শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা শশী পাঁজার

দীর্ঘদিন নেতাদের দেহরক্ষী থাকতে পারবে না পুলিশকর্মী, নয়া নিয়ম আনছে নবান্ন

শ্লীলতাহানির অভিযোগের মধ্যেই কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট তলব রাজ্য মহিলা কমিশনের  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর