নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘোষিত অবস্থান মেনে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে প্রিভিলেন মোশন(Privilege Motion) আনল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনলেন রাজ্যের দুই মহিলা মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রস্তাবে উত্থাপক হিসাবে নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহারও। প্রস্তাব যে শুধু শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই আনা হয়েছে তাই নয়, প্রস্তাব আনা হয়েছে বিজেপির(BJP) আরও দুই বিধায়কের বিরুদ্ধেও। এই দুই বিধায়ককে বুধবারই বিধানসভার চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই দুই সাসপেন্ড বিধায়ক ধর্ণাতেও বসে রাজ্য বিধানসভা ভবনের অলিন্দে। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কও ছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁদের নাম এদিন প্রিভিলেজ মোশনের প্রস্তাবে তোলে তৃণমূল। এই দুই বিজেপি বিধায়ক হলেন মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
রাজ্য বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের সময় বিজেপির বিধায়কেরা ব্যাপক হইহট্টোগোল করেন। শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি চিৎকার চেঁচামেচি করে তাঁরা রাজ্যপালকে বাধা দেন তাঁর ভাষণ পড়তে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের মহিলা বিধায়ক ও মন্ত্রীদের লক্ষ্য করে আক্রমণও শানেন তাঁরা। সেই ঘটনার জেরে তৃণমূলের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন বা স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনছেন। পরে সেই প্রস্তাবে মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের নামও জুড়ে দেওয়া হয়। বিজেপির এই ৩ বিধায়কদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ রাজ্যপালকে তার ভাষণ পড়তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের হেনস্থা করা। এদিন বিজেপির ধর্ণায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দুও। তাঁদের দাবি, মিহির ও সুদীপের সাসপেনশান প্রত্যাহার করতে হবে।
বিজেপির এই ধর্ণা কর্মসূচী নিয়ে এদিন তৃণমূলের তরফে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপির মতো এত অজ্ঞ দল দেখিনি। আমরাও বিরোধী দল ছিলাম। ৩০ টি আসন নিয়ে ২৩৫-এর বিরুদ্ধে লড়েছি। তখন আমাদের বলতে দেওয়া হত না। আর এদের এত সুযোগ দেন স্পিকার। অথচ কিছুতেই সভায় আসে না। বিতর্কে অংশ নেয় না। আর মুখ্যমন্ত্রী সভায় এলেই সব কাগুজে বাঘ হয়ে ওঠে।’ মুখ খুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি অধিবেশনে ৬২ মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে গেল। আর ভারত মাতা কী জয় করল। প্রথমত হাততালি দেওয়া যায় না। স্পিকারকে অনুরোধ করি ওদের একটা আলাদা জায়গা করে দিন। সারা দিন বসে ভারত মাতা কী জয় করুক।’