এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা লুইজিনহো ফ্যালেরিওর

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Election Commission) তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়ার ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই আচমকা সেই দলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেরিও(Luizinho Faleiro)। মঙ্গলবার তিনি দিল্লি গিয়ে দেখা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে। সেই সাক্ষাতেই তিনি উপরাষ্ট্রপতির হাতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দেন। এই ঘটনার পরে তৃণমূলের অপর রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার(Jawhar Sarkar) জানাচ্ছেন,‘লুইজিনহোর ফেলেইরো বহুদিন ধরে আসছিলেন না। শরীরটা খারাপ বোধ হয়। উনি আমার চেয়েও বয়সে বড়। পদত্যাগ করাটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

আরও পড়ুন কুড়মি আন্দোলনে এখনই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ নয়, কথা মমতা ও রেলমন্ত্রীর

অন্যদিকে এদিন ইস্তফা দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লুইজিনহো ফ্যালেরিও জানান,‘আমি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, তৃণমূলের তরফে লুইজিনহোকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল বাংলার কোটা থেকে। অর্থাৎ তিনি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সেখানকার বাসিন্দা হলেও তাঁকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল। ২০২৬ সালে ফেলেইরোর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার প্রায় তিন বছর আগে কেন তিনি এদিন পদত্যাগ করে দিলেন। ২০২১ সালের কংগ্রেস ছেড়ে ফেলেইরো নাম লেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। ওই বছরই ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সদলবদলে তৃণমূলে যোগদান করেন ফেলেইরো। নভেম্বর মাসেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। পাশাপাশি সর্বভারতীয় সংগঠনে তাঁকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন বড় ধাক্কা DA আন্দোলনকারীদের, পিছিয়ে গেল সুপ্রিম শুনানি

ওই সময় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, লুইজিনহো রাজ্যসভার সাংসদ হলেও, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেলেইরো ভোটে লড়েননি। ২০২২ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করলেও ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। বর্তমানে গোয়া তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, ফেলেইরোর ইস্তফা প্রসঙ্গে কোনও খবর ছিল না তাঁর কাছেও। ফেলেইরোর পদত্যাগের ফলে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২-তে। যদিও এই আসনে উপনির্বাচন হলে, বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার হিসাবে তা সহজেই জিতে নেওয়ার কথা তৃণমূলেরই। ফেলেইরোর আচমকা পদত্যাগের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল এই সদ্য পদত্যাগী এই নেতার। এমনকি গোয়া তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতেও তাঁকে বা তাঁর অনুগামীদের জায়গা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। পরবর্তী কালে তৃণমূলের কর্মকাণ্ডে আর সক্রিয় ভাবে দেখা যেত না ফেলেইরোকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মোদি হাওয়া নেই, দ্বিতীয় দফাতেও ভোটের হার হতাশাজনক

অমেথি, রায়বরেলির প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শনিতে বৈঠকে কংগ্রেস নির্বাচনী সমিতি

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

জীবনে প্রথমবার কংগ্রেসকে ভোট দিতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে

গো ফার্স্টের ৫৪ বিমানের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্ট

ভোট দেওয়ার পরেই মৃত্যুর কোলে নবতিপর বৃদ্ধা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর