নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ৫ জানুয়ারি। মধ্যরাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা(Birthday Wishes) জ্ঞাপন। কিন্তু মজার কথা যাকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে, তিনি বহু আগেই একাধিকবার জানিয়ে দিয়েছেন, এদিন তাঁর জন্মদিন নয়। তবুও বইছে শুভেচ্ছার বন্যা। কেননা তিনি যে জননেত্রী। বাংলার অগ্নিকন্যা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের রাজত্বকে ছুঁড়ে বঙ্গোপসাগরের জলে ফেলে দেওয়ার নেত্রী তিনি। দেশের সর্বশক্তি দিয়ে বাংলা দখলের জন্য আসা নরেন্দ্র মোদিকে রুখে দেওয়ার নেত্রী তিনি। কোটি কোটি মানুষের নয়নের মণি তিনি। তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা আসছে মধ্যরাত থেকেই। হ্যাঁ সরকারি ভাবে খাতায় কলমে আজই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। যদিও তিনি নিজেই জানিয়েছেন একাধিকবার যে এদিন তাঁর জন্ম হয়নি। তারপরেও মধ্যরাত থেকেই বাংলার বহু বিশিষ্টজন জননেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসছে তাঁর জন্মদিন তাহলে ঠিক কবে? সেই প্রশ্নের উত্তর নিজেই একাধিকবার দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সরকারি নথি বলছে, ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম তাঁর। সেই হিসেবে এদিন তাঁর ৬৯ বছর বয়স পূর্ণ হল। মমতা দিন ও সাল নিয়ে বিতর্কে না গেলেও নিজেই তাঁর লেখা বই ‘একান্তে’(Ekante) লিখেছেন, ‘মা’র কথানুযায়ী দুর্গাপূজার(Durga Puja) মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর(Sandhi Puja) সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পর নাকি বৃষ্টি থেমে যায়।’ অর্থাৎ শীতের দিনে নয়, মমতার জন্ম উৎসবের মাঝে। সেই কারণেই হয়তো তিনি বলতে পারেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সত্যিই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো কারও একার নন। তিনি রাজ্যবাসীর সম্পদ, ভারতের অহংকার। হাজারো অপপ্রচার, মিথ্যা বদনাম, প্রাণঘাতী হামলা পেরিয়ে আজও তিনি বাংলার নিজের মেয়ে। তাঁর কাছে পরাস্ত হতে হয় নরেন্দ্র মোদির বাহিনীকেও। তাঁর দাপটে বাংলার বিধানসভা থেকে মুছে যেতে হয়ে বাম আর কংগ্রেসকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি এদিন তাঁর জন্মদিন না হয় তাহলে সরকারি ভাবে এদিন তাঁর জন্মদিন নথিভুক্ত হল কীভাবে? এর উত্তরও জননেত্রীই দিয়েছেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা যখন তাঁকে স্কুলে ভর্তি করতে যায় তখন সেই আমলে স্কুলে ভর্তির জন্য বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক ছিল না। তাই তাঁর সেই সার্টিফিকেটও নেই। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় তা লাগেওনি। তবে স্কুলে ভর্তির সময় স্কুলের প্রধানশিক্ষকই এই দিনটিকে চিহ্নিত করে দেন। সেই থেকেই সরকারি ভাবে যাবতীয় নথিতে তাঁর জন্মদিন হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে ৫ জানুয়ারি।