এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেরীতে হলেও শিল্পের তকমা পেল বাংলার পর্যটন, সুদিনের আশায় ব্যবসায়ীরা

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবি ছিল বাম জমানার সময় থেকেই। কিন্তু আলিমুদ্দিনের বড়বাবুদের সেই প্রস্তাবে সায় ছিল না। তাই ৩৪ বছরের রাজত্বপাটে তাঁরা বাংলার পর্যটন(Tourism of Bengal) ক্ষেত্রকে শিল্পের তকমা দেননি। দেরীতে হলেও পরিবর্তনের একযুগ বাদে অর্থাৎ ১২ বছর বাদে সেই তকমা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্যটন ক্ষেত্রকে শিল্পের মর্যাদা(Title of Industry) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পরে এই নিয়ে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক বড় বড় সংস্থা রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের(Investment on Tourism in Bengal) জন্য এগিয়ে আসবে। ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে। সরকার পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার ফলে রাজ্যে শিল্প তৈরি করতে গেলে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করলেও সেই সমস্ত সুবিধা মিলবে শিল্পপতিদের। তাই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের(Bengal Global Business Summit 2023) আগে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজ্যের বণিক মহল।

পশ্চিমবঙ্গে শিল্প তৈরির ক্ষেত্রে জমি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে ছাড় পান শিল্পপতিরা। নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের মতে, রাজ্য সরকার পর্যটনকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের জন্য সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। গত সেপ্টেম্বরে বিদেশ সফরে যাওয়ার অব্যবহিত আগেই পর্যটন দফতরের মন্ত্রী বদল করেন মমতা। বাবুল সুপ্রিয়ের বদলে দফতরের দায়িত্ব তিনি দেন ইন্দ্রনীল সেনকে। এ বার সেই দফতরকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে গতি আনার চেষ্টা করলেন তিনি। এমনটাই মত প্রশাসনিক মহলের একাংশের। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের যে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের কথা বাণিজ্য সম্মেলনে আগত শিল্প মহলের কাছে তুলে ধরা হবে। পূ্র্বভারতে এই প্রথম কোনও রাজ্য পর্যটনকে শিল্পের তকমা দিল। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিল্পপতি ও বণিকসভার পক্ষ থেকে পর্যটনকে শিল্পের তকমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছিল। এবার সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, শিল্পের তকমা পেলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে। যাঁরা পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চান, তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে সহজ শর্তে বড় অঙ্কের ঋণ পাবেন। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়েও সুবিধা হবে। ‘‌ফ্রি হোল্ড’‌ অর্থাৎ লিজে পাওয়া জমির মালিকানা পেতে সুবিধা হবে। জমির চরিত্র বদল সহজে করা যাবে। জল, বিনোদন সংক্রান্ত করের ক্ষেত্রে প্রচুর ছাড় পাওয়া যাবে। শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের যে বিশেষ নীতি রয়েছে পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য তা প্রযোজ্য হবে। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার শিল্পে বিনিয়োগ টানতে বিশেষ উৎসাহভাতা নীতি ঘোষণা করেছিল। এবার সেই সুবিধা পর্যটন শিল্পও পাবে। বাঙালিরা ভ্রমণপিপাসু, তাই পর্যটনকেন্দ্র যত বাড়বে তত সেই এলাকার আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। এই ক্ষেত্রটিকে আরও উন্নত করতেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জাঙ্গিপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো টিমকে সরানো হয়েছে : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৭ লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩ শতাংশ

শুক্রবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় কমলা সর্তকতা জারি

কমিশনের নির্দেশে ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসিরা দায়িত্ব নিলেন

প্রচারের শেষ লগ্নে ঝড়, ২৭ মে সুদীপের হয়ে পদযাত্রা মমতার

বিধান ভবনে খাড়গের ছবিতে কালি, অধীরের কাছে রিপোর্ট তলব কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর