নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় আদালতের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI)। শুধু তাই নয়, ওই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনাতেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay), রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) প্রাক্তন সভাপতি সুবীরেশ ভট্টাচার্য(Subiresh Bhattacharya) সহ বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকক। সেই ঘটনার তদন্তেই সিবিআইয়ের কানে এসেছিল যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন দুই সভাপতিকে অপসারণের কালে যথাযথ ভাবে নিয়ম মানা হয়নি। ওই ঘটনায় কমিশনের যে ৪জন জড়িত ছিলেন তাঁরা নাকি সুবীরেশবাবুর নির্দেশেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। এবার এই বিষয়েই নিশ্চিত হতে সোমবার সাত সকালেই কমিশনের দুই প্রাক্তন সভাপতি ও ওই ৪জন কর্মীকে নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) ডেকে পাঠায় সিবিআই। সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ৪জন কর্মী বেলা ১২টার মধ্যে এসে না পৌঁছালেও দুই প্রাক্তন সভাপতি নিজাম প্যালেসে চলে এসেছেন। এই দুইজনকেই সুবীরেশবাবুর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিক।
আরও পড়ুন সাদা নীলের শহরে আকাশ নীলের মুর্ছনা, মাঝরাতে অকাল দেওয়ালি
দু’দিন আগেই এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরশকে দ্বিতীয়বার হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে আদালতকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আর্জির প্রেক্ষিতেই সুবীরেশকে পাঁচদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়। মনে করা হচ্ছে, সুবীরেশকে তাঁর পূর্বসূরি দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা তখনই ছিল সিবিআইয়ের। কারণ, তদন্তে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তখনই হাতে এসেছিল তদন্তকারীদের। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে ২জন প্রাক্তন সভাপতিকে সিবিআই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় তাঁরা হলেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এবং প্রদীপ কুমার শূর।
আরও পড়ুন জিতলেন মমতাই, শাহী বৈঠকের পরে আধার নিয়ে পদক্ষেপ কেন্দ্রের
সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনার তদন্তে নেমে নাকি জানতে পেরেছে যে, সুবীরেশের পূর্ববর্তী এই দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন এবং প্রদীপকুমারকে নিয়ম না মেনে এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে নিয়ম না মেনেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই স্থলেই নিয়োগ করা হয়েছিল সুবীরেশকে। কেন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারেই প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এ ছড়াও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্যও জানতে চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ওই সূত্রে। এই ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কতখানি জড়িত ছিলেন সেই বিষয়েও তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।