নিজস্ব প্রতিনিধি: ছেলে জয় চক্রবর্তী (Joy Chakraborty) ও স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তীর (Shyamoli Chakraborty) হাতে খুন হয়েছেন বারুইপুরের সালেপুরের প্রান্তিক আবাসনের বাসিন্দা প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তী (Ujjwal Chakraborty)। খুন করার পর দেহকে ৬ টুকরো করে পুকুর ও জঙ্গলে ফেলে দিয়েছেন ছেলে ও স্ত্রী। কিন্তু কীভাবে এত নৃশংসভাবে বাবাকে খুন করতে পারে ছেলে? তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জাগছে প্রশ্ন। সেই আবহে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তীর প্রতিবেশীরা।
নিহত প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীর এক প্রতিবেশী জানান, ছেলেকে ছোটবেলা থেকে হিংসার শিক্ষা দিয়েছেন বাবা উজ্জ্বল। ছেলে জয় চক্রবর্তী যখন ছোট ছিল সেই সময় তাকে শেখানো হত কীভাবে সহপাঠী বা খেলার সঙ্গীদের মেরে কাবু করতে হবে। শৈশব থেকে তাকে শেখানো হয়েছে, কোথায় মারলে বা আঘাত করলে সহপাঠী বা তার বন্ধুরা কাহিল হয়ে পড়বে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাড়ার শিশুদের সঙ্গে জয় খেলতে গেলে কোনও কারণে তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে উজ্জ্বলবাবু জয়কে শেখাতেন কিভাবে কোথায় মারতে হয়। স্বামী ও স্ত্রীর বনিবনা না হলেও স্ত্রীও তার মত করে ছোটবেলা থেকেই জয়কে হিংসার শিক্ষা দেন তারই প্রতিফলন এই ঘটনা।’ স্থানীয়রা জানান, এমন হিংস্র পরিবার বলে উজ্জ্বলদের সঙ্গে পাড়ার কোনও পরিবার যোগাযোগ রাখত না। প্রাক্তন নৌসেনা যে আবাসনে থাকতেন সেই আবাসনে আরও ২৫টি পরিবার থাকলেও কারোর সঙ্গেই তারা কথা বলতেন না।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার বারুইপুরের ডিহি মদন মাল্লো এলাকায় একটি পুকুর থেকে উজ্জ্বলের হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাক্তন নৌসেনার ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরায় তারা উজ্জ্বলকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এমনকি প্রমাণ লোপাট করতে দেহকে ৬ টুকরো করে পুকুর ও বিভিন ঝোপ ও জঙ্গলের মধে ফেলে দেয় জয় ও শ্যামলী মিলে।