নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে(Higher Secondary Schools) এবার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে(Class 11 and 12) একজন শিক্ষককে ন্যূনতম কত ঘণ্টা ক্লাস নিতেই হবে–তা বেঁধে দিতে চাইছে সংসদ বা WBCHSE। এর পাশাপাশি কোন টপিক কত দিনে শেষ করতে হবে–তাও বেঁধে দিতে চায় সংসদ। একই সঙ্গে সংসদের ইচ্ছা, পড়ুয়াদেরও সম্ভব হলে কোন চ্যাপ্টার কতদিনে পড়ে ফেলা উচিত–সেই সাজেশন দেওয়া। যাতে পরীক্ষা, ক্লাস, প্র্যাক্টিক্যাল—এই সব দৌড়ঝাঁপের মধ্যে একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়ারা(Students) টাইম ম্যানেজমেন্ট(Time Management) করে উঠতে পারে। সময় ধরে প্রিপারেশন নিতে পারে।
সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক সংসদ সিলেবাস এবং পরীক্ষার নানা খুঁটিনাটি বিষয়ের আমূল পরিবর্তন নিয়ে বৈঠক করেছে। সিবিএসই বোর্ডের ধাঁচে সিলেবাস সাজানো, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দু’টি ভাগে ভেঙে সেমেস্টার সিস্টেম চালুর উদ্যোগও শুরু হয়েছে। সেই বৈঠকেই শিক্ষকদের ঘণ্টা বেঁধে ক্লাসের হিসেবের প্রস্তাব উঠেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যে ক্লাসের সময় বেঁধে দেওয়া আছে। ইউজিসি’র ঠিক করে দেওয়া সময়সীমা মানতে হয় তাঁদের। তাঁদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনই স্কুল-শিক্ষকদের অ্যাপ্রাজ়াইলের সঙ্গে এই সময়ের হিসেব ধরা হবে কিনা–তা স্পষ্ট করেনি সংসদ। তবে সংসদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমায় শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন কিনা, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হবে স্কুলের প্রধানশিক্ষকদেরই।
এই বিষয়ে সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের জানিয়েছেন, ‘একাদশ-দ্বাদশ মানে কেবল বোর্ড পরীক্ষা নয়। পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্যে আরও অন্য অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নজর দিতে হয়। পড়ুয়াদের সুবিধার জন্যেই ক্লাসের সময় বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব আমরা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাব।’ অনেক সময়ে শিক্ষকদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁরা সঠিক সময়ে সিলেবাস শেষ করছেন না। অথবা অতিরিক্ত সময় নিয়ে ফেলছেন। সূত্রের খবর, আগামী ৫ জানুয়ারি সংসদের পরবর্তী বৈঠকে এ-সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।