নিজস্ব প্রতিনিধি: মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলে রবিবার রাত পর্যন্ত স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। তা সত্বেও আজ সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসছে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই অধিবেশন বসবে। যদি সকালের মধ্যে রাজ্যপাল বিলে সই করে ফাইল ফেরত না পাঠান, তাহলে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বিশেষ ‘এজেন্ট’ এর বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল। সেই সঙ্গে কেন এমন পরিস্থিতি হল, তার ব্যাখ্যা দেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা বিধানসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করা হবে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন ক্ষেত্রেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধির কথা জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই বৃদ্ধির প্রস্তাব ছাড়পত্রের জন্য দু’টি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। ওই বিল পাশ করানোর জন্যই পুজোর মুখে তড়িঘড়ি করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিদানসভার জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। প্রথমে বিধানসভার জরুরি অধিবেশন বয়কট করার ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা। পরে অবশ্য ডিগবাজি খেয়ে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আগেই রাজ্যপালের কাছে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত ফাইল পাঠানো হয়। কিন্তু সেই ফাইলের উপরে চেপে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘মানসপুত্র’ হিসাবে পরিচিত সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার দুপুরে ওই ফাইল ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও তাতে খুব লাভ হয়নি। তার পরেই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সোমবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। রাজ্যপাল বিল ফাইলে সই না করলে বিধানসভার অধিবেশনেই এ বিষয়ে সরব হওয়া হবে।