নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলেই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জরুরি আবেদনের শুনানি করারও আর্জি জানানো হয়েছে।
এদিন দুপুরেই সন্দেশখালিতে ইডির আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এবং বিভিন্ন নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতিরা। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার জন্য তিন দিনের জন্য নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যদিও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির রায়ের পরেই তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জেরার জন্য হানা দিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। আর ওই হানা দিতে গিয়েই জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ‘বিজেপি বান্ধব’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জনরোষের মুখে পড়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিল বীরপুঙ্গব আধিকারিকরা। ওই দিনই ন্যাজাট থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। ওই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে নিয়ে যৌথ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওই রায় পছন্দ হয়নি ইডির। যৌথ তদন্তকারী দলের উপরে আস্থা নেই জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলার শুনানিতেই যৌথ সিটের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ন্যাজাট থানার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।