এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ডিএ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিএ(Dearness Allowance) নিয়ে রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের বিবাদ কী এবার মিটতে চলেছে? এই প্রশ্নটা উঠে গেল রাজ্য সরকারেরই এক সিদ্ধান্তের দরুন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ২০১৭ সাল থেকে বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার দাবিতে মামলা-আন্দোলন করছেন। স্যাট-এ মামলায় প্রথমে রাজ্য জিতলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশ ও শেষ পর্যন্ত স্যাট কর্মচারীদের ওই টাকা মেটানোর জন্যে সময় বেঁধে দেয়। তার পরেও ফের হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য। হাইকোর্ট কর্মীদের পক্ষে রায় দিলেও তা কার্যকরী হয়নি। ফলে আদালত অবমাননার মামলাও হয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। আবার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেরও(Supreme Copurt) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর বকেয়া ডিএ কেন্দ্রীয় হারে দিতে হলে রাজ্যে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হবে। তার মাঝেই জানা গেল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের বিদ্যুৎ বণ্টন ও সংবহন সংস্থার কর্মীদের ২০১৯ পর্যন্ত বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্যে সংস্থার তরফে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন বাঘ বাড়ছে সুন্দরবনে, বাড়ছে হামলায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও

বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের এই বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়টি রাজ্য সরকারের তরফেই কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়েছে। ২০২০ থেকে নতুন হারে বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ আদালত দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার আর্জিও অবশ্য জানিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। কিন্তু এই মামলার সূত্রে উঠে গিয়েছে অন্য প্রশ্ন। যে সরকার বিদ্যুৎকর্মীদের ডিএ মেটাতে তহবিল গড়েছে, তারাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানো এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার হাইকোর্টের নির্দেশ কী করে অগ্রাহ্য করে চলেছে? যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের তরফে বাড়তি কিছু জানানো হয়নি। তবে একথাও শোনা যাচ্ছে যে, রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত যদি সরকারের পক্ষে রায় তখন এই ৫০০ কোটির ডিএ ফেরত নিয়ে নিতে পারে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। আগামী ১৪ ডিসেম্বর রিভিউ মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করে ২০১৯ পর্যন্ত বকেয়া মেটানো হচ্ছে। ২০২০ থেকে নতুন হারে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন কুকথার বাণ ছোটে যাদের মুখে, তাঁরাই দিচ্ছেন গিরিকে পাঠ

এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া মেটানো শুরু হয়ে থাকে, তা হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কেন নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলার পথে হাঁটল সরকার? এটা সময় নষ্ট করার কৌশল কি না, তা নিয়ে আদালতে ইতিমধ্যে অভিযোগও তুলেছেন সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চও জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কতদিনে রাজ্যের আবেদনের শুনানি হবে, তার জন্যে অনন্তকাল আদালত অবমাননার মামলার বিচার পড়ে থাকবে না। অবমাননার মামলা যে আদালতের নির্দেশ অমান্যের প্রেক্ষিতে, সেই আদালতেরই বিচার্য। অর্থাৎ এই মামলার নিষ্পত্তি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই। তবে নবান্ন(Nabanna) সূত্রে এটা জানা গিয়েছে আদালত শেষ পর্যন্ত যদি ডিএ মেটানোর প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেয় তাহলে রাজ্যে প্রায় সব আর্থসামাজিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধাক্কা খাবেন রাজ্যের গরিব, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা। ধাক্কা খাবে রাজ্যের অর্থনীতি। ধনীরা আরও বেশি ধনী হবে এবং গরিবেরা ক্রমশই গরীব হবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল ! কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর