নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে(Draupadi Murmu) উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা অখিল গিরি(Akhil; Giri) যে কদর্য মন্তব্য করেছেন তার জেরে শনিবার সকাল থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্যের সব মহল থেকেই গিরির মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। তবে এই ইস্যুটিকে হাতিয়ার করে মাঠে রে রে করে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। জায়গায় জায়গায় গিরি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি কর্মী থেকে সমর্থকেরা। চলছে রাস্তা অবরোধ। কোথাও কোথাও গিরির কুশপুত্তলিকাও পোড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দাবি তোলা হয়েছে অবিলম্বে গিরিকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বিজেপির নেতারা এখন গিরিকে পাঠ দিতে শুরু করেছেন যে ঠিক কীভাবে কথা বলা উচিত আর কীভাবে নয়। প্রশ্ন হচ্ছে নিন্দা আর প্রতিবাদ কারা করছেন? সিংহভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপির নেতারা। এই বিজেপির নেতারাই কার্যত গত ৭-৮ বছর ধরে কুকথার বাণ ছুটিয়েছেন বাংলা জুড়ে। তখন বিজেপির প্রতিবাদ কোথায় ছিল? যে দিলীপ(Dilip Ghosh), সুকান্ত, শুভেন্দু(Suvendu Adhikari), রাহুল, সায়ন্তন(Sayantan Basu), সৌমিত্ররা বাংলাজুড়ে কুকথার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তাঁরা এখন গিরিকে পাঠ দিতে আসেন কোন যুক্তিতে?
আরও পড়ুন গণধর্ষণকাণ্ডে লাইসেন্স বাতিলের সম্ভাবনা বৈদিক ভিলেজের
বঙ্গ বিজেপিতে কুকথার বাণ সব থেকে বেশি ছুটিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক, তাঁদের পরিবারের সদস্যদসের, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে অতিবড় কুকথা ছুটিয়েছেন তাঁরা। তখন না কোনও মহিলা কমিশন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছে না বিজেপির কোনও নেতা-কর্মী-সমর্থক তাঁকে সুকথার পাঠ দিতে শিখিয়েছেন। একুশের নির্বাচনের পরে অবশ্য দিলীপকে কিছুটা আক্রমণ শানিয়েছিলেন তথাগত রায়। কিন্তু ওই অবধিই। দিলীপ এখনও আগের মতোই আছেন। দিলীপের পরেই কুকথার বাণ ছোটাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তা সে মমতা বা তৃণমূলকে আক্রমণ করা হোক কিংবা অভিষেক বা সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা হোক, নিত্যদিনই তাঁর মুখ দিয়ে কুকথার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এরা এখন গিরিকে উপদেশ দেওয়ার আগে বা তাঁর সমালোচনা করার আগে নিজেদের মুখতা আয়নায় দেখলেই বেশি ভাল করবেন বলে নানান মহল থেকে দাবি উঠেছে। কুকথার বন্যা একসময় বেশ ভালই ছোটাতেন বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসু। যদিও বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব তাঁকে কার্যত কেটেছেঁটে ফেলে দিয়েছে দল থেকে। তার জেরে তাঁর না এখন মুখ দেখা যায় না তাঁর বচন শোনা যায়। কিন্তু ইনিও কিছু কম কুকথা শোনানননি বঙ্গবাসীকে। দুর্ভাগ্য এরাই এখন গিরিকে পাঠ দিচ্ছেন।