এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার হুমায়ুন কবীরের, যোগাযোগ বিজেপি’র সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শাসক দলকে বার বার অস্বস্তিতে ফেলতে গিয়ে এবার বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী(Former State Minister) তথা পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার ডেবরা(Debra) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) হুমায়ুন কবীর। প্রত্যাহার করা হল তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশেই এহেন পদক্ষেপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে হুমায়ূণ ঘনিষ্ঠ সূত্রদের তরফে দুটি তথ্য জানা গিয়েছে। এক, রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন IPS(Former IPS) আধিকারিক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁর নিরাপত্তা ফেরত পেতে এবং দুই, তিনি যোগাযোগ করছেন বিজেপির(BJP) সঙ্গেও যাতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া যায়। ঠিক যেভাবে ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি কেন্দ্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন মমতার ঘোষণায় জঙ্গলমহলে কুড়মি ভোট হাতছাড়া বিজেপির

ঠিক এক বছর আগেই হুমায়ুনের হাত থেকে চলে গিয়েছিল মন্ত্রিত্ব। এবার তাঁর নিরাপত্তারক্ষীও প্রত্যাহার করা হল। কিছুদিন আগেই রাজ্য বিধানসভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্নের জেরে তাঁর ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের অন্দরে থেকে দলের বা সরকারের নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল বলে বলা হয় তাঁদের তরফে। নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন হুমায়ুন সাহেবও। তবে কেন তা প্রত্যাহার করা হল, সেই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেই তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। ওয়াই ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন ডেবরার বিধায়ক। তাঁকে কারিগরি শিক্ষাদফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন World Bank ও AIIB’র ঋণ পেতেও বাগড়া কেন্দ্রের

রাজনৈতিক মহলের মতে, মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়ে দল তাঁকে ‘বার্তা’ দিলেও সাবধান হননি হুমায়ুন। বরং দলকে নানা অস্বস্তিতে ফেলছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নিজের ‘হতাশা’ এবং ‘লজ্জা’ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন এই IPS। তার ঠিক ২০ দিনের মাথায় বিধানসভায় তাঁর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। তিনি বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন, ‘তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলাদের মতো মুসলমান মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া যায় কি?’ পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের সময় মুসলিম পরিবারের মহিলারা তাঁকে এই আবেদন করেছিলেন বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়টি শুনেছি। আমরা কেউ দলের ঊর্ধ্বে নই। দলের যে শৃঙ্খলা রয়েছে, তা প্রত্যেকের মেনে চলা উচিত।’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ISF নেতৃত্ব এখন তাঁকে নিজেদের দলে টানতে চাইছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল ! কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর