নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়(Deactivation of Aadhar Card) হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা(PIL) দায়ের করেছিল Joint Forum Against NRC & ANR নামে একটি সংগঠন। সেই মামলাই এদিন শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্র থেকে এই আধার কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটা আসলে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে না, এটা আসলে কোনও ভুল না ‘Error’। মামলাকারীর আর্জি, যাদের কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে তাদের অবিলম্বে বিষয়টি জানানো হোক। উল্লেখ করা হয়েছে যে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে। যদিও এদিন শুনানিকালে কেন্দ্রের আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। তবে সেই কথা কানে তোলেননি বিচারপতিরা। উল্টে তাঁরা কেন্দ্রের কাছ থেকে হলফনামা(Affidavit) চেয়ে পাঠালেন যা আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।
অভিযোগ, বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেই ঘটনার কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্রের তরফে। এ রাজ্যে প্রায় এক হাজারের ওপর আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। কেন এভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছে। যদিও এদিন মামম্লার শুনানিকালে কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। যারা বিদেশের নাগরিক তাদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। এ কথা শুনেই কেন্দ্রকে হলফনামা দিতে বলে ডিভিশন বেঞ্চ। কী কারণে এমনটা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আগামী ২৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে তার আগে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে। উল্লেখ্য, ভোটের আগে আধার কার্ড বাতিলে ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ঘোষণা করেন রাজ্য সরকার একটি পোর্টাল চালু করেছে। যাদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে এই পোর্টালে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন।