এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৪৮ ঘণ্টায় মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতেই জল থইথই চেন্নাই, বিপদের মুখে কলকাতাও

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) প্রভাবে ডুবুডুবু অবস্থা চেন্নাইয়ের(Chennai)। অর্ধেক অংশ জলমগ্ন। নাগাড়ে চলা বৃষ্টির জেরে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ডুবে গিয়েছে। ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। চেন্নাইয়ের এই পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের আশঙ্কা, কেবলমাত্র চেন্নাই নয়, অদূর ভবিষ্যতে এ দেশের আরও অনেক শহর সম্পূর্ণ জলের তলায় ডুবে যেতে পারে। সেই সব শহরের তালিকায় আছে কলকাতাও(Kolkata)। চেন্নাই শহরের মহাপ্লাবন কার্যত ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। দেশের উপকূলবর্তী শহরগুলির ওপর যে বিপদের খাঁড়া ঝুলছে সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল চেন্নাইয়ের দুরাবস্থা। ৪৮ ঘণ্টায় মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতেই জল থইথই চেন্নাই। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি(Flood Situation)। আগামী দিনে এই একই হাল হতে পারে কলকাতারও।

বন্যা পরিস্থিতি চেন্নাইবাসীর কাছে অজানা নয়। ২০১৫ সাল থেকে ভারী বৃষ্টি হয় এ শহরে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অপর্যাপ্ত নগর পরিকল্পনাই এই পরিস্থিতির মূল কারণ। পর্যাপ্ত নিকাশী ব্যবস্থা না থাকা জেরে বৃষ্টির জল ঠিকমতো বেরোতে পারছে না। নগর পরিকল্পনায় গোড়ায় গলদ থেকে যাচ্ছে। জলাভূমি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে আবাসন বানানোর জন্য। পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলি নষ্ট করাও হচ্ছে। চেন্নাইয়ের এই পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে বৃহত্তর কলকাতার। সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়া, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা পরিস্থিতির মেঘ তৈরি করেছে দেশের ১২টি শহরের ক্ষেত্রে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপুল জনঘনত্বের এই শহরগুলি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে না বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। তার মধ্যে আছে কলকাতাও।  

Potsdam Institute for Climate Impact Research and Climate Analytics’র তরফে এবং The World Bank Group’র তত্ত্বাবধানে করা সমীক্ষা সম্প্রতি আশঙ্কাবাণী শুনিয়েছে। বিষুবরেখার কাছাকাছি অবস্থান করায় ভারতের উচ্চ অক্ষাংশের তুলনায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এর জেরে শহরাঞ্চলে নোনা জলের প্রবেশ ঘটবে। উপকূলীয় শহরগুলির জন্য যা মারাত্মক হতে চলেছে। কলকাতাতেও এখন গঙ্গায় জোয়ারের সময় অনেক বেশি জল ঢুকছে আগেকার তুলনায়। বাড়ছে নদীতে লবণের ভাগও। আর তার জেরে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গার দুই তীরে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের বিস্তর উপস্থিতিও চোখে পড়ছে। একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি কৃষিকেও প্রভাবিত করছে। এর জেরে আগামী দিনে ভূগর্ভস্থ জলের গুণমান খারাপ হবে এবং সম্ভাব্য জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি করবে। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে সার্ভে রিপোর্টে।  

এরই পাশাপাশি, Intergovernmental Panel on Climate Change বা IPCC ২০২১ সালে সতর্কবার্তা জারি করেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর এতটাই বাড়তে শুরু করেছে যার জেরে দেশের ১২টি উপকূলীয় শহর সম্পূর্ণরূপে ডুবে যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, কোচি এবং বিশাখাপত্তনম। চলতি শতাব্দির শেষে এই শহরগুলি ৩ ফুট জলের নীচে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে IPCC রিপোর্টে। ভারতীয় উপকূলীয় অঞ্চলগুলির পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে বন্যার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থা লাখ লাখ মানুষকে গৃহহীন করবে। জীবন-জীবিকাও বেশ ভাল রকমই প্রভাবিত হবে।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নওশাদের জমি কাড়তে এবার ভাঙড়ে জনসভা অভিষেকের, ত্রস্ত আইএসএফ

দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতী ও তার বন্ধুর ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা

সোমবার পর্যন্ত বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের তিন কর্মীকে তলব লালবাজারের

মুর্শিদাবাদে রাম নবমীতে অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না এনআইএ

মেয়ের বয়সি মহিলাকে চাকরি দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি করেছেন, বোসকে খোঁচা অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর