নিজস্ব প্রতিনিধি: আর দিন কয়েক বাদেই পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালিদের আলাদাই উন্মাদনা থাকে। দুর্গাপুজোর মতো নতুন জামা কেনারও ধুম থাকে সকলের মনে। আর পয়লা বৈশাখের দিন বিভিন্ন সোনার দোকানপাটের হালখাতার জন্যে ভিড় জমে গ্রাহকদের। যাই হোক, পয়লা বৈশাখের ঠিক পরেই গোটা ভারত জুড়ে হয় রাম নবমী। অর্থাৎ রামের জন্মদিন। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে নবমী তিথিতে ভগবান রাম জন্মগ্রহণ করেছেন। এবার যদিও রামনবমী একটু বাড়তি উত্তেজনার সাক্ষী থাকবে গোটা দেশের।
কারণ ৫০০ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে রাম জন্মভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাম লালার মন্দির। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ওইদিনই প্রথম রাম লালার পোশাক পরিবর্তন করা হবে। প্রতি বছর এই দিনটিকে ভগবান রামের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। ভগবান রাম মধ্যাহ্ন যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই ওইদিন মধ্যাহ্নে প্রায় ২ ঘন্টা এবং ২৪ মিনিট ধরে বিরাজমান রাম তিথিতে রাম পূজা হয়।সমস্ত মন্দিরগুলি এই মুহূর্তটিকে প্রভু রামের জন্ম মুহূর্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। পশ্চিমা ঘড়ি এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে মানুষ রাত ১২টাকে মধ্যাহ্ন মুহূর্ত হিসেবে ধরে নেয়। তবে এটি সঠিক হয় তখনই, যখন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত যথাক্রমে সকাল ৬ টা এবং সন্ধ্যা ৬ টায় ঠিক হয়।
তাই ভগবান রামের জন্মদিন উদযাপনের সঠিক সময় বেশিরভাগ ভারতীয় শহরের জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে পড়ে। অযোধ্যা হল ভগবান রামের জন্মস্থান এবং অযোধ্যায় রাম নবমী উদযাপন অসাধারণ। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন অযোধ্যায়। সরায়ু নদীতে পবিত্র স্নানের পর ভক্তরা জন্মদিন উদযাপনে অংশ নিতে রাম মন্দিরে যাবেন।রাম নবমীতে আটটি প্রহর উপবাসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ ভক্তদের সূর্যোদয় থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত উপবাস পালন করা উচিত। রাম নবমী ব্রত তিনটি ভিন্ন উপায়ে পালন করা যেতে পারে, নৈমিত্তিক এবং ক্রমাগত। ১৭ এপ্রিল গোটা দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে রামনবমী।রাম নবমী মধ্যাহ্ন মুহুর্ত -সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। সময়কাল, ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।