নিজস্ব প্রতিনিধি: খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে প্রায় প্রতি বছর ৪০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়ত। তাই মানুষকে খাবার নিয়ে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৬ই অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হয়। আমরা অনেকেই খাবার বাসি হয়ে গেলে বা একদিন পুরনো হয়ে গেলে সেই খাবার ফেলে দি, কিন্তু এর মধ্যে অনেক বাসি খাবারে অনেক গুনাগুণ থাকে।
বাসি রুটির স্বাদ অনেকের ভালো লাগে না, আবার কেউ কেউ মনে করেন বাসি রুটি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু জানা গিয়েছে, টাটকা রুটির থেকে বাসি রুটি অনেক বেশি উপকারী।
১. দুধের সঙ্গে বাসি রুটি মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিজ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাসি রুটিতে কিছু লাভজনক ব্যাক্টিরিয়া উৎপন্ন হয়, যা শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। আবার বাসি রুটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও কম করে।
২. আবার দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠ-কাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। বাসি রুটিতে ফাইবার থাকায়, হজমে সাহায্য করে।
৩. শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে এই রুটি সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষত গরম কালে এটি খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।
৪. কেউ যদি অধিক রোগা থাকে, তা হলে তাঁদের দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খাওয়া উচিত। রাতে বাসি রুটি খাওয়া অধিক উপযোগী।
৫. জিমের জন্য উপকারী বাসি রুটি। জিমের পর রুটি শরীরের পেশীকে মজবুত করে।