নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে কার্তিক সপ্তমী পর্যন্ত চারদিন ধরে চলে ছটপুজো। পূর্ব ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে পালিত হয় এই পুজো। বছরে দুবার পালিত হয় ছট। প্রথমবার চৈত্র মাসের এবং দ্বিতীয়বার কার্তিক মাসে। পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজো পালন করেন।
চলতি বছর ৮ই নভেম্বর সোমবার চতুর্থী। ৯ নভেম্বর উদযাপিত হবে খরনা। এদিন মহিলারা সারাদিন উপোস করে থাকবেন। সন্ধ্যায় মাটির চুলোয় গুড়ের ক্ষীরের প্রসাদ তৈরি করেন এবং তারপর এই প্রসাদটি সূর্যদেবকে অর্পন করা হবে। এরপর ছট শেষ হলেই উপবাস ভেঙে সকলে এই প্রসাদ খান।
পুজো সমাপ্ত হবে ১১ নভেম্বর খনার পরের দিন। এই দিনে মহিলারা সূর্যোদয়ের আগে নদী বা পুকুরের জলে নেমে সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা করেন। এরপর উদীয়মান সূর্যদেবের পুজো করে উপবাস ভঙ্গ করা হয়। ব্রতের শেষ দিনে গঙ্গা ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে পবিত্র চিত্তে অর্ঘ্যপ্রদানের পর উপবাসভঙ্গ করে মিষ্টান্ন, ক্ষীর, ঠেকুয়া, নাড়ু এবং আখ, কলা, মিষ্টি লেবু প্রভৃতি ফল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয় ও পরিচিত সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ছট পুজোর উপাদানে রাখা হয় সিঁদুর, প্রদীপ, মধু, ধূপ ও নতুন বস্ত্র।