নিজস্ব প্রতিনিধি: গর্ভাবস্থায় বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে সাধারণ ঘরের কাজ করতেই পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। শরীর অ্যাক্টিভ থাকলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় কষ্ট কম হয়। কিন্তু এই সময় শারীরিক নানা সমস্যা এবং মেজাজের তারতম্য ঘটে। তাই গর্ভাবস্থায় নারীদের অনেক সাবধানে থাকা উচিত।
১. পেটের চাপ পড়ে বা মানসিক অশান্তির কারণ হয়, এমন কোন কাজ গর্ভবতী মহিলাদের করা উচিত নয়। গর্ভবতী মহিলাদের হাসিখুশি এবং টেনশন-মুক্ত থাকা খুবই জরুরি। হাঁটা-চলা, ঘুম, খাওয়া, বিভিন্ন অভ্যাস সবকিছুর ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। চিকিত্সকরা মা এবং গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এ সময়ে মায়ের শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার কথা বলেন।
২. খুব ভারী কাজ কিছু না করলেও হালকা কাজ গর্ভাবস্থায় করা যেতে পারে। বরং হালকা হাঁটাচলা এবং ঘরের কাজ করলে গর্ভবতী মহিলাদের শরীর ভালো থাকবে। তবে কিছু ভারী কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
৩. বাড়িতে পোষ্য থাকলে বিশেষ করে বিড়ালের বর্জ্য গর্ভবতীরা কোনভাবেই পরিষ্কার করা যাবে না। বিড়ালের বর্জ্যে টক্সোপ্লাজমা গোনডি নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা হবু মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের বড় ক্ষতি করতে পারে। ঘরে আর কেউ না থাকলে যদি একান্তই গর্ভবতী মহিলাকে পরিষ্কার করতেই হয় তাহলে খুবই সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
৪. ঘরে রান্না না করা যেকোনো খাবারই পরিস্কার থাকতে হবে। স্মোকড সিফুড, কাঁচা ডিম, চিজ ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। খেয়াল রাখবেন একটানা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
৫. ধূমপান এবং অ্যালকোহলের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে গর্ভপাত, অকাল প্রসব এবং অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
৬. বিভিন্ন ওষুধ আছে, যেগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। কোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।