এই মুহূর্তে




ট্রেনে মিলছে না টিকিট, পুজোয় চারচাকাকে ভরসা করে ঘুরে আসুন মামুডি থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আকাশ বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। আকাশে দেখা দিচ্ছে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। দক্ষিণে গড়িয়াহাট থেকে নিউমার্কেট, উত্তরে হাতিবাগান এখনই উপছে পড়ছে ভিড়ে। এবার মা আসছেন এবার বড় তাড়াতাড়ি, তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মেতে ওঠার তাগিদে মানুষ তড়িঘড়ি সারছেন পুজোর শপিং। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, মিন্ত্রার মতো শপিং অ্যাপগুলিতেও অর্ডারের ছড়াছড়ি। যারা ঘুরতে ভালবাসেন তারা হয়তো এই পুজোর ছুটিকেই কাজে লাগাবেন বলে ভাবছেন। তাঁরা দেখে চলেছেন ট্রেনের টিকিট বা ফ্লাইটের টিকিট। আর ট্রেনের টিকিট যদি লোয়ার বার্থের হয়ে যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

আসলে পুজোর সময় অনেকেরই কোলাহল ভালো লাগে না। সারাবছর ইট কাঠ পাথরের জঙ্গল আর বসের চোখরাঙানি সহ্য করতে করতে কখনও কখনও সময় মনে হয় একটু কথা ঘুরে আসি। তাই অনেকেই চান পুজোর সময়টাকে কাজে লাগাতে। কিন্তু পুজোর সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। ফ্লাইটেরও টিকিট মেলা ভার। যদিও অনেকেই পুজোর ৩-৪ মাস আগে টিকিট কেটে রাখেন। কিন্তু অনেক সময় নানা সব কাজ সামলিয়ে বা বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে আগে ঠিক করে রাখা যায় না যে আদৌ পুজোর সময় কোথাও যাওয়া যাবে কিনা। তেমন যদি হয় তাহলে কী করবেন? হতাশায় কি তাহলে শেষ উপায়? ট্রেন বা ফ্লাইট এর টিকিট পাওয়া না গেলে কি হয়েছে, নিজের গাড়ি হোক বা ভাড়া গাড়ি করে ঘুরে আসতে পারেন মামুডি থেকে।

পুরুলিয়ার ঝালদার অন্তর্গত এক নির্জন গ্রামের নাম মামুডি। আকারে ছোট্ট গ্রাম, কিন্তু তাতে বিরাজ করছে অপার শান্তি আর সৌন্দর্য। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। একটু কান পাতলেই শোনা যাবে পাখিদের নানা কলতান। দূরে জলপ্রপাতের শব্দ। এসবের মধ্যে এক কাপ চা নিয়ে বসলেই যেন জীবনে সবটা পাওয়া হয়ে যায়।

পুরুলিয়ায় অবস্থিত মামুডিতে যখন আসবেন তখনই জুড়িয়ে যাবে চোখ। মামুডি আসার পথে প্রচুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শুধু একটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে। এখানে যারা রাত্রি বাস করবেন তাদেরও দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। যারা মামুডিতে আসবেন তারা সেই সঙ্গে ঘুরে নিতে পারবেন মুরুগুমা, মার্বেল লেক, বামনি ফলস, খয়রাবেড়া ড্যাম।  ট্রেক করতে চান, তাতেও অসুবিধা নেই। কাছেই ময়ূর পাহাড় এবং অযোধ্যা পাহাড়। তাই পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন এইসব পাহাড়ে। এই পাহাড়ে বরফ নেই কিন্তু রয়েছে অপার সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক সম্পদের খনি এক একটি স্থান।

মামুডি যাওয়া খুব বেশি কিছু ব্যাপার নয়। কলকাতা থেকে ভোর ভোর বেরিয়ে পড়ুন তারপর খড়গপুর হয়ে জাতীয় সড়ক ১৬ নম্বর ধরে সড়কপথে পৌঁছে যান। তবে রাস্তা কিন্তু বেশ সংকীর্ণ। সময় লাগবে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। ধরুন যদি আপনি ভোর ছ’টার দিকে বেরোতে পারেন তাহলে দুপুর তিনটে সাড়ে তিনটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।

যারা ট্রেনে যেতে চান তাদের জন্যও ভাল। হাওড়া থেকে পুরুলিয়ার দিকে যায় এরকম যে কোনও ট্রেনে উঠে বসুন। তারপর নামুন মুড়ি স্টেশন থেকে মাহমুদের দূরত্ব মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার। তবে যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। তাহলে ট্রেনে না এসে সড়কপথই আছে। নিজের গাড়ি না থাকলে গাড়ি ভাড়া করেই আসুন। একটু খরচ হবে, কিন্তু যা নিয়ে ফিরবেন তার কাছে সেই খরচ যেন কিছুই নয়।

মামুডি গ্রামে ইদানিং সময়ে থাকার জায়গা হয়েছে, তবে তাও একেবারে হাতেগোনা। তাই যদি আসতে চান আগে থেকে বুকিং করে আসবে। পুজোর সময় এমনিতে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাই আগে থেকে বুক করে না আসলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। যদি মামুডিতে থাকার জায়গা নাও পান তাহলে কাছাকাছি বড়ন্তি, মুরগুমার কাছে অনেক ছোট বড় হোটেল রয়েছে, তাতেও থাকতে পারেন। থাকা আপনার পছন্দ। তাই পুজোয় যদি ঘুরতে যেতেই হয় তাহলে চার চাকা সঙ্গী করে ঘুরে আসুন মামুডি থেকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ছুটির দিনে সামান্য উপকরণে চটজলদি বানিয়ে নিন ৩টি নিরামিষ পদ

সন্ধ্যার এই সময়ে দেবী লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন, খেয়াল রাখুন অবশ্যই

বড়দিনে নামমাত্র মূল্যে থাইল্যান্ড ভ্রমণের আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে IRCTC

এবারে শীতের ছুটিতে গন্তব্য হোক কফির বাগান, চোখের আরাম দিতে ঘুরে আসুন এই জায়গাগুলি থেকে

শীতে ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে বিশেষ পানীয়

দূষণে বিষাক্ত বাতাস, জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে দিনের কোন সময় হাঁটা বেশি নিরাপদ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ