নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমেছে নাকি বেড়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে ব্যাঘ্র শুমারি। বাঘ গুনতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ক্যামেরার। আর বিশ্ববিখ্যার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারক্ষের ডেরা থেকে রহস্যজনকভাবে চুরি হয়েছে আটটি ক্যামেরা। সুন্দরবনের নোটাবেঁকী অভয়ারণ্যে ওই ক্যামেরা চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত চুরি যাওয়া ক্যামেরা উদ্ধার করা যায়নি।
পাঁচ বছর আগে সুন্দরবনে শেষ বারের মতো ব্যাঘ্র শুমারি হয়েছিল। সেবার বিশ্বের অন্যতম অভয়ারণ্যে ১১৪টি বাঘের সন্ধান মিলেছিল। তার আগের জরিপের তুলনায় বাঘের সংখ্যা বেড়েছিল আটটি। যদিও ১৯ বছর ২০০৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০৪টি। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনা। আর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা গুনতে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে বন বিভাগ। সাতক্ষীরা, খুলনা, শরণখোলা সহ চার রেঞ্জকে ৬৬৫টি গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রিডের আয়তন চার বর্গকিলোমিটার। প্রতি গ্রিডে দুটি করে ক্যামেরা বসিয়ে ৪০ দিন রাখা হবে। পরে ক্যামেরার ছবি প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হবে।
বাঘ গণনার জন্য সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা বসিয়েছিল বন বিভাগ। তার মধ্যে নোটাবেঁকী অভয়ারণ্যে বসানো ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গিয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট বিভাগের আধিকারিক নূর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ক্যামেরা চুরির বিষয়টি সর্বপ্রথম নজরে আসে। ওই দিন সুন্দরবন থেকে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জন জেলেকে আটক করে বনবিভাগ। তাদের কাছ থেকে সন্দেহজনক কয়েকটি ব্যাটারি পাওয়া গিয়েছিল। তবে, কোনও ক্যামেরা পাওয়া যায়নি।