নিজস্ব প্রতিনিধি, কোয়েম্বাতুর: একমনে কাজ করছিলেন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। এতটাই মনযোগ দিয়ে যে সে নাটবল্টু গিলে ফেলেন। চেষ্টা করছিলেন বমি করে নাটবল্টু বের করার। কাজ হয়নি। উল্টে তাঁর দম আটকে মরে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। দ্রুত তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তাঁরা ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির এক্সরে করার সিদ্ধান্ত নেন। অপারেশন ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন। দরকার ছিল জানান, শরীরের কোথায় রয়েছে সেই নাটবল্টু।
এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায় নাটবল্টুটি রয়েছে ট্র্যাকিয়ায়। ট্র্যাকিয়ার যে অংশে ওই নাটবল্টু রয়েছে সেখান থেকে বামদিকের ফুসফুসে যে কোনও চলে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা দ্রুত ওই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। নাক-কান-চক্ষু- এই তিন বিভাগের কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয় বিশেষ দল। তারা ওই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির অপারেশন করে নাটবল্টুটি বের করেন।
কাজ করতে করতে নাটবল্টু গিলে ফেলেন সামসুদ্দিন। বাড়ি কোয়েম্বাতুরে। গত ১৮ অক্টোবর তিনি একটি বাড়ির ইলেক্ট্রিকের কাজ করছিলেন। নাটবল্টু গিলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন কী ভুল করেছেন। বেশ কয়েকবার বমি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বমি না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন ওই বাড়ির সদস্যরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রথমে এক্সরে করে নাটবল্টু কোথায় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর তারা সামসুদ্দিনের অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালে তাকে থাকতে হবে।
তাই, খুব, খুব খুব মনযোগ দিয়ে কাজ করা বিপদেরও বটে।
আরও পডু়ন কী কাণ্ড, কী কাণ্ড। মুরগির ডিমের ওজন ২১০ গ্রাম!!!!!