নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশের একাংশ জলে ডুবে গিয়েছে। রাস্তা-ঘাট জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ স্ত্রীকে গরুর গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্বামী। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের বেতুল গ্রামের। স্ত্রীর অবস্থা রীতিমতো সঙ্কটজনক। ভর্তি বেতুলের জেলা হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড বমি হচ্ছিল দয়ারামের স্ত্রী সুখমনির। গ্রাম জলে ডুবে যাওয়ায় কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে সেই এই কদিনে যোগাযোগ করতে পারেনি। গত শুক্রবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুখমনি। পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল বাড়িতে রাখা গরুর গাড়ি। জেলা হাসপাতালে পৌঁছতে হলে মাঝে একটি নদী পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। একপ্রকার ঝুঁকি নিয়ে সেই নদী পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন স্বামী।
জেলা হাসপাতালের ডা. রেণু বর্মা জানিয়েছেন, সুখমনির অবস্থা রীতিমতো সঙ্কটজনক। গত এক সপ্তাহ ধরে বমি করছিলেন। সেই সঙ্গে ছিল পেটে ব্যথা। আপাতত সুখমতিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি।
অন্যদিকে সুখমনির স্বামী দয়ারাম জানিয়েছে, স্ত্রীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়া এভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা ছিল না। বাড়িতে রেখে দিলে বিনা চিকিৎসায় মারা যেত। হাসপাতালের ডাক্তারবাবু জানিয়েছে, স্ত্রীর অবস্থা খুব ভালো না। ভগবান ভরসা।
এই ঘটনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট বৃষ্টি হলে গ্রামের হাল যে কী হয়, তা আরও একবার প্রমাণিত হল।