আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেওয়ার কথা ছিল ভ্যাকসিন। দিচ্ছিলেন স্যালাইন। হাতেনাতে ধরা পড়লেন ডাক্তার।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরে। চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই চিকিৎসক কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডা. জিপসন কোহাকে। সিঙ্গাপুর মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডা. কোহা কাজে যোগ দিতে পারবেন না। মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, ডা. জিপসন কোহা সিঙ্গাপুরের করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল, করোনায় আক্রান্তকে টিকার পরিবর্তে স্যালাইন দেওয়ার। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্তকে টিকা দেওয়ার পরিবর্তে স্যালাইন দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দেখাচ্ছিলেন। সে কারণে ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
সিঙ্গাপুর মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ডাক্তারের ভূমিকা জনস্বার্থ বিরোধী। তিনি যাবতীয় নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। অসত উপায় অবলম্বন করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। সে কারণে এই চিকিৎসকে সাসপেন্ড করা হল। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কাজে যোগ দিতে পারবেন না। কারা কারা ভ্যাকসিনের বদলে স্যালাইনের টিকা পেয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। ’
আরও পড়ুন এক মিনিটে ৩৫২ গ্রাম চিকেন নাগেট খেয়ে বিশ্বরেকর্ড ব্রিটিশ তরুণীর