নিজস্ব প্রতিনিধি: সময়য়টা ছিল উনিশ শতকের শেষ দিকে। ১৮৯১ সালে কলকাতা থেকে শিলাইদহে গিয়ে জমিদারি তদারকির কাজ করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিলাইদহের কাছারিবাড়িতে বসেই খাজনা আদায়ের কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে সেই বাড়ির অবস্থা ভগ্নপ্রায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের পরিত্যক্ত সেই কাছারিবাড়ি সংস্কারের কাজে হাত লাগাল বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বুধবার থেকে শিলাইদহের কাছারিবাড়ির সংস্কার কাজ শুরু হয়। শেখ হাসিনা সরকার চলতি অর্থবর্ষে বাড়িটির এক-চতুর্থাংশ সংস্কার করবে বলে জানিয়েছে। শুধু তাই নয় সংস্কারের কাজ মিটলে দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৮৯১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাবার নির্দেশে শিলাইদহে আসেন জমিদারির কাজ দেখাশোনা করতে। জমিদারির কাজ দেখার পাশাপাশি শিলাইদহে বসে বহু কবিতা, গান, নাটক লিখেছেন রবি ঠাকুর। তাঁর সেই স্মৃতিবিজড়িত দোতলা বাড়িটি বর্তমানে আগাছায় ছেয়ে গিয়েছে। দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গা থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। বাড়ি সংস্কারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার হুমায়ন আহমেদ জানান, প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনি সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। শুধু বাড়ির পরিত্যক্ত ইট, কাঠ, লোহাগুলো পরিবর্তন করবেন তিনি। চলতি বছরের জুনের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।